নয়া দিল্লি: দেশে করোনা চলাকালীন সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসের বাজার দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ভারতে গাড়ি, স্মার্টফোন, আর ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের বড় বাজার রয়েছে। তবে দেশে এই জিনিসপত্রের বাজার দ্রুতগতিতে আরও বেশি বাড়ছে। করোনা মহামারির যুগে দেশে অনলাইন শিক্ষা আর ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সংস্কৃতি বেড়েছে। এই কারণে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট আর গেজেটের মতো নতুন নতুন প্রোডাক্টের চাহিদা বেড়েছে। এই সমস্ত জিনিসপত্র মানুষ শুধু নতুন কিনছে না বরং এই সমস্ত জিনিসপত্রের সেকেন্ড হ্যান্ড বাজারও দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
সেকেন্ড হ্যান্ড হেডফোন, ল্যাপটপের চাহিদা বেড়েছে
আমাজনের বক্তব্য, তাদের রিফর্বিশড প্ল্যাটফর্মে (refurbished platform) সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আর হেডফোনের চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এই চাহিদা নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ মিলিনিয়ল্সদের তরফে বেশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের আয়ও আগের তুলনায় বেড়েছে। এই কারণে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্রের চাহিদাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বাজারের কথা বলা হলে, ডুম আর স্পিনির মতো কোম্পানির বক্তব্য, তাদের প্ল্যাটফর্মে বিক্রি অনেকটাই বাড়তে দেখা গিয়েছে। ডুমের বক্তব্য, গত দুটি ত্রৈমাসিকে গত বছরের সমান ত্রৈমাসিকের তুলনায় বিক্রি ১০০ শতাংশ বেড়েছে। তারা জানিয়েছে, এক মাসে প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে।
কেন বেড়েছে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা
অন্যদিকে স্পিনির বক্তব্য, হ্যাচব্যাক, এসইউভি, মারুতি আর হোন্ডার চাহিদা যথেষ্ট গতিতে বেড়েছে। তারা জানিয়েছে, বিএস ৬ নিয়ম আর চিপের সমস্যার কারণে গাড়ির ডেলিভারি করতে দেরী হচ্ছে। এটা দেখেই অনেক মানুষ সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনাও পছন্দ করছেন।
এর পাশাপাশি আসবাবের জিনিসপত্র আর ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের বাজারেও সেকেন্ড হ্যান্ডের চাহিদা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, সেকেন্ড হ্যান্ড বাজারে দ্রুতগতিতে বেড়েছে ফ্রিজ আর এসির চাহিদা। আসবাবপত্রের কোম্পানি IKEA-এর বক্তব্য, বিশ্বজুড়ে বেশকিছু রিফর্বিশড প্ল্যাটফর্মে তাদের পাইলট প্রোজেক্ট চলছে। কোম্পানির বক্তব্য অনুযায়ী, ফার্নিচার প্রোডাক্টগুলিতে সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিসপত্রের চাহিদা মাথায় রেখে, তারা এটা আরও বাড়াতে পারে। এই সমস্ত ব্যাপার দেখে একটা কথা পরিস্কার, করোনার সময়ে সেকেন্ড হ্যান্ড প্রোডাক্টগুলির চাহিদা বেড়েছে।