মুম্বই: একদিনে উড়ে গেল লগ্নিকারীদের ১৪ লক্ষ কোটি টাকা! যার জেরে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির মোট মূলধনের পরিমাণ কমে ৩৭১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা হল। বুধবার (১৩ মার্চ), এক-দিনে রেকর্ড পতনের সাক্ষী হল দালাল স্ট্রিট। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এতটা খারাপ অবস্থা দেখা যায়নি ভাপরতীয় শেয়ার বাজারে। স্মলক্যাপ সূচকের পতন হয়েছে ৫ শতাংশ কমেছে, মিডক্যাপগুলির ৩ শতাংশ, মাইক্রোক্যাপ এবং এসএমই স্টক সূচকগুলি প্রায় ৫ শতাংশ করে। বিএসই সেনসেক্স এবং নিফটি৫০ – দুই সূচকেরই এদিন ইন্ট্রাডে ট্রেডে ১ শতাংশের বেশি করে পতন হয়েছে। এদিন বিএসই সেনসেক্স ১১০৯ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭২,৫৫৮। আর নিফটি৫০-ও ৪২২ পয়েন্ট বা ১.৯ শতাংশ কমে ২১,৯১৩-য় নেমে আসে।
সেনসেক্সের ৩০টির মধ্যে ২৬টি স্টক এবং নিফটি৫০-র ৪৬টি স্টকের দরে এদিন নিম্নগতি দেখা গিয়েছে। পাওয়ারগ্রিড এবং আদানি এন্টারপ্রাইজের দর পড়েছে ৬ শতাংশ, আদানি পোর্টসের ৫.৫ শতাংশ, কোল ইন্ডিয়ার ৫.৪ শতাংশ, এনটিপিসির ৫ শতাংশ। এছাড়া, ১ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ দর পড়েছে টাটা স্টিল, ওএনজিসি, টাইটান, হিন্দালকো, ভারতী এয়ারটেল, এলঅ্যান্ডটি, টাটা কনজিউমার, টাটা মোটরস, এইচইউএল, হিরো মোটোকর্প, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, জেএসডব্লিউ স্টিল, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া এবং বাজাজ অটোর শেয়ারের।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে খুচরো লগ্নিকারীরা অযৌক্তিকভাবে স্মল-ক্যাপ সেগমেন্টে অত্যধিক মূল্যায়ন করে এসেছেন। শেয়ারের দাম ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন। কিন্তু, সেবি এটা সংশোধনের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছে। সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপগুলির জন্য সতর্কতা জারি করে বলেছেন, “বাজারে বেশ কিছু ফাঁপা পকেট রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে বুদবুদ বলে, কেউ কেউ বলে ফেনা। এই বুদবুদ আর তৈরি করতে দেওয়া হবে না।” সেবি প্রধান আরও জানান, মূল্যায়নের মানদণ্ডগুলি মৌলিক বিষয়গুলির ভিত্তিতে করা হয়নি। যার ফলে ‘অযৌক্তিক’ভাবে মূল্য বেড়েছে স্টকগুলির। সেবির এই বার্তা, শেয়ার বাজারের এদিনের রেকর্ড পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।