নয়া দিল্লি: শুধু দামি দামি পোশাক নয়, স্টাইল স্টেটমেন্ট বজায় রাখতে জামা-কাপড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই অনেকে দামি জুতোও কেনেন। কিন্তু সেই দামি দামি জুতো পরলে কী আর আরাম মেলে, পায়ের স্বস্তি মেলে সেই ১০০-১৫০ টাকার হাওয়াই চটিতেই। যদি একটু ভাল মানের চটি কিনতে চান, তবে সর্বাধিক ২৫০ বা ৩০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে সম্প্রতিই একটি বিখ্য়াত বিপণনী সংস্থার হাওয়াই চপ্পল দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। দামি ব্রান্ড, তাই দাম একটু বেশি হতে পারে, কিন্তু তা বলে চটির দাম ৯ হাজার টাকা। না না, কোনও ভুল নয়, সত্যিই লাক্সারি ফ্যাশন ব্রান্ড ‘হিউগো বস’ সংস্থা হাওয়া চপ্পল বিক্রি করছে। দাম ৮৯৯০ টাকা। নীল রঙের এই চপ্পলের সঙ্গে বাকি দোকানের বা ফুটপাথে বিক্রি হওয়া হাওয়াই চটির খুব একটা ফারাক নেই। এক ঝলকে দেখলে দুটি চটির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাবেন না।
সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই হাওয়াই চপ্পলের ছবি ও তার দাম। তারপর থেকেই নেটমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে কীভাবে একজোড়া হাওয়াই চপ্পলের দাম ৯ হাজার টাকা হতে পারে। ফুটপাথের ধারে বিক্রি হওয়া ১০০-১৫০টাকার চটি এর থেকে ভাল দেখতে বলেও দাবি করেছেন তারা।
It’s a bathroom slipper dude!!!! https://t.co/7ADKEHF7HY
— Dhivya Marunthiah (@DhivCM) October 17, 2022
এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী টুইটারে লিখেছেন, “এটা তো বাথরুমে পরার চটি!”। কেউ আবার টুইটে লিখেছেন, “ছোট শহরে সাপ্তাহিক বাজারে এই চটি ৫০ টাকায় পাওয়া যায়।”
তবে হিউগো বসের ওয়েবসাইটে গেলে কিছুটা ভিন্ন তথ্য মিলছে। ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে সত্যিই হাওয়াই চপ্পল বিক্রি হলেও, তার দাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে হাওয়াই চপ্পলের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাও ওয়েবসাইটে দেওয়া আসল ছবির থেকে অনেকটাই আলাদা। ফলে ভাইরাল পোস্টের সত্যতা ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, হাওয়াই চপ্পলের আসল দাম সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। ৪৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯৯০ টাকায়।
এর আগে আরেকটি ফ্যাশন ব্রান্ড ব্য়ালেন্সিয়াগার তরফেও আবর্জনা ফেলার একটি ব্য়াগ বাজারে আনা হয়। ওই ব্য়াগের দাম ছিল ১৮০০ ডলার।. ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা। ট্রাশ পাউচ নামক ওই ব্য়াগটির বিজ্ঞাপন অনলাইনে প্রকাশিত হতেই শোরগোল পড়ে যায়।