Bank Note Spelling Mistake: ১০ টাকার নোটে বানান ভুল! বাংলা বানান নিয়েই তুমুল শোরগোল!
Bank Note: সদ্য প্রকাশিত হয়েছে নতুন সিরিজের নোট। আর এবার সামনে এল সেই নোটেই রয়েছে বাংলা বানান ভুল। যতিচিহ্নও নেই সঠিক জায়গায়। আর তারপরই শুরু হয়েছে শোরগোল।

গত অগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে একের পর এক বদল দেখা গিয়েছে। পরিবর্তন এসেছে সে দেশের সরকারের পন্থায়। ভাঙচুর হয়েছে সে দেশের একাধিক জায়গায়। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও। সে দেশের রাস্তায় দাপাদাপি বেড়েছে ইসলামি কট্টপন্থীদের। আর এবার মুজিবকে একেবারে মুছে ফেলতে উদ্যোগী নতুন সরকার বাংলাদেশে নতুন নোট প্রকাশ করেছে।
নোটের নতুন ডিজাইন সহ ৬টি ছবি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০ টাকার নোট। এই নোটগুলোতে রয়েছে গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর। তবে পুরনো নোটকে বাতিল করেনি সে দেশের সরকার।
নতুন এই নোটের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নোটগুলোর ডিজাইন নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের একাংশ। তবে, সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা গিয়েছে নতুন ১০ টাকার ব্যাঙ্ক নোটের ক্ষেত্রে। গোলাপি রংয়ের এই নোটের সামনের দিকে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের ছবি থাকলেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে নোটের পিছনের দিকে থাকা গণঅভ্যুত্থানের সময় আঁকা গ্রাফিতিটিকে নিয়ে। এই গ্রাফিতিতে লেখা রয়েছে, “যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ”। আর এই লেখা নিয়েই বেড়েছে বিতর্ক। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ওই গ্রাফিতিতে দাঁড়াও বানানটি ভুল রয়েছে। এবং লাইন শেষের পর কোনও দাঁড়ি নেই।

বাংলাদেশের নতুন ১০ টাকার পিছনে থাকা গ্রাফিতিতে ভুল হয়েছে ‘দাঁড়াও’ বানানে। লাইন শেষের পর নেই যতিচিহ্নও।
গণঅভ্যুত্থানের সময়ই এই গ্রাফিতিটিতে বানান বা যতিচিহ্নগত ভুল ছিল। কিন্তু সেই গ্রাফিতি যখন দেশের টাকায় ছাপানো হচ্ছে, তখন তার বানান কেন ঠিক করা হল না, সেই নিয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশি নেটিজেনদের একাংশ। এ ছাড়াও তাকায় থাকা বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়েও অসন্তোষ দেখা গিয়েছে নেট নাগরিকদের মধ্যে।
এক নেট নাগরিক লিখছেন, “দেওয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছিল, ব্যাকরণ লেখেনি কেউ”। আর একজন লিখছেন, “গ্রাফিতি লেখার সময় চারপাশের কী অবস্থা ছিল সেটা বুঝতে হবে। চন্দ্রবিন্দু বা দাঁড়ি-কমা নিয়ে ভাবার সময় ছিল না”। আবার কেউ কেউ বলছেন, গ্রাফিতিতে ভুল থাকলেও সেটা টাকায় ছাপানোর সময় ওই ভুলগুলো শুধরে নেওয়া উচিৎ ছিল। তবে বাংলাদেশের নাগরিক শাহাদত জামান সৈকত এই পরিপ্রেক্ষিতে TV9 বাংলাকে বলেছেন, “নাগরিক হিসাবে আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে এতগুলো জীবনের বিনিময়ে স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করলাম। যেখানে আমাদের যাত্রা করার কথা সত্য, সাম্য আর তেলবাজি বিহীন সমাজের দিকে, সেখানে আমরা পেলাম মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকা রাজাকার আর উগ্রবাদী ইসলামিস্ট একটা সরকার। আর এই ১০ টাকার নোট-ই প্রমাণ করে যে আমরা আমাদের সাম্যের সমাজ তো পাচ্ছিই না, আমরা পেয়েছি তেলবাজি পছন্দ করা, কোমর ভাঙা একটা সরকার।”
