নয়া দিল্লি: জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) টাটার (Tata Group) হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে। শুরু থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া চেয়ারম্যানের নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছে টাটা গ্রুপ। প্রত্যাশিতভাবেই টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ-কে (Natrajan Chandrasekarana) এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। তুরস্কের ইলকার আইসি এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও হতে অস্বীকার করার পরই এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে এসেছে।
তুরস্ক এয়ার লাইন্সের প্রাক্তন সিইও ইলকার আইসিকে প্রথমে সংস্থার সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছিল টাটা সন্স। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। সরকারও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হয়নি। এরপরই সংস্থার তরফে সিদ্ধান্ত বদলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। চন্দ্রশেখরণকে এয়ার ইন্ডিয়া চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। চন্দ্রশেখরণ টাটা সন্সের চেয়ারম্যান। টাটার আওতাধীন ১০০ টিরও বেশি সংস্থা পরিচালনা গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে। সরকারের থেকে এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণে চন্দ্রশেখরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নিলামে বিমান সংস্থা অধিগ্রহণে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়াকে বিশ্বমানের করতে টাটা গ্রুপ বন্ধপরিকর। এমনকি যাত্রী পরিষেবাতে এয়ার ইন্ডিয়া যে উল্লেখযোগ্য কাজ করবে, সে কথাও তিনি জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, একসময় টাটা-র হাত ধরেই এয়ার ইন্ডিয়ার পথ চলা শুরু। মাঝে অনেক পথ পেরিয়ে আবারও টাটার ঘরেই ফিরছিল সেই সংস্থা। জানুয়ারি মাসেই টাটার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার ও দেওয়া হল ম্যানজমেন্টের নিয়ন্ত্রণ। সংস্থার ১২ হাজার কর্মীকে বহাল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল টাটা। প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। এই সংস্থার জন্য প্রত্যেকদিন সরকারের ক্ষতি হচ্ছিল ২০ কোটি টাকা করে। এর আগেও একবার এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝা থাকার কারণে কোনও সংস্থা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। ফলে, তখন সফল হয়নি কেন্দ্র। শেষমেশ টাটাই সংস্থার দায়িত্ব নিতে উৎসাহী হয়।