নয়া দিল্লি: মধ্যবিত্তের পক্ষে সবসময়, সব জিনিস নগদে কেনা সম্ভব হয় না। আবার অনেকের পক্ষে সম্ভব হলেও তাঁরা একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা খরচ করতে চান না। তাই বেশি দামের জিনিস ঋণ নিয়ে কিনতেই পছন্দ করেন অনেকে। তবে ঋণের চাপ নিয়ে বেশিদিন চলা বেশ কঠিন। ঠিক সময়ে ঋণ শোধ করতে না পারলে ব্যাঙ্ক থেকে ফোনের পর ফোন, রীতিমতো জেরবার হয়ে যেতে হয়। দিনের পর দিন ইএমআই না দিলে বা দীর্ঘ সময় পরও ঋণ না শোধ করলে ব্যাঙ্ক ওই গ্রাহককে ডিফল্টার বলে ঘোষণা করে অর্থাৎ ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত হতে হয় গ্রাহককে।
এমতাবস্থায় ডিফল্টার হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে কী উপায় আছে, তা জেনে রাখা দরকার। পরিস্থিতির চাপে অনেক সময়েই ঋণ শোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন কী করবেন, তার জন্য একটা বিশেষ গাইডলাইন রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার।
সেই গাইডলাইন অনুযায়ী ঋণ শোধ করার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়। ধরে নেওয়া যাক, কেউ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন, শোধ করতে না পারলে অন্তত ৫ লক্ষ টাকা শোধ করতে হবে। বাকি টাকা শোধ করার জন্য আরও বেশি সময় দেওয়া হবে। ঋণের বোঝাও কমানো হবে। একে লোন রিস্ট্রাকচারিং বলা হয়। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হয়।
ডিফল্টার হলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হতে পারে। তার থেকে ঋণ শোধ করার সময় বাড়িয়ে নেওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। গাড়ি, বাড়ি বা যে কোনও ঋণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যায়।