বিপদ কখনও বলে আসে না। বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতি উদ্ভূত হতেই পারে। মেডিকেল এমাজেন্সির মতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আচমকাই অনেকটা টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সকলের সবসময় হাতে টাকা থাকে। সেক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতিতে একমাত্র পথ ব্যক্তিগত ঋণ। এর মাধ্যমেই সাময়িকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। মেডিক্য়াল এমারজেন্সি, উচ্চশিক্ষা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং বিয়ের খরচের জন্য অনেকেই স্বল্প পরিমাণে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে থাকেন। এই ধরনের ঋণ পাওয়া আদতে সহজ। এক্ষেত্রে বন্দকও দিতে হয় না কিছু। তবে ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে কিছু জিনিস। এক নজরে দেখে নিন ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে।
যোগ্যতা (Eligibility) : ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা বিভিন্ন ব্য়াঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল আয়ের স্থিতিশীলতা (অন্তত এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা), আবেদনকারীর বয়স, সিবিল স্কোর (Credit Information Bureau–India–Limited)।
সিবিল স্কোর (CIBIL Score) : সিবিল স্কোর একটি তিন সংখ্যার নম্বর। যার মাধ্যমে কোনও ঋণগ্রহীতার ধার নেওয়ার ইতিহাস সারাংশ জানা যায়। আক্ষরিক অর্থে যার সিবিল স্কোর যত বেশি তাঁর লোন পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
সুদের হার (Interest Rates) : লোন নেওয়ার আগে বিভিন্ন ব্য়াঙ্কের সুদের হার খতিয়ে দেখতে হবে ঋণগ্রহীতাদের। ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বিভিন্ন ব্য়াঙ্কের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে পারে। কিছু নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। তাই লোন নেওয়ার আগে বিভিন্ন ব্য়াঙ্ক ও নন-ব্য়াঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হার তুলনা করেই লোনের জন্য আবেদন করা উচিত।
সহজে আবেদন করা যাবে (Easy To Apply) : অনলাইন বা অফলাইন দুই ভাবেই সহজে আবেদন করা যাবে এমন ক্ষেত্রেই লোনের আবদেন করা উচিত। ক্রেডিট কার্ড হোল্ডাররা খুব সহজেই পার্সোনাল লোন পেয়ে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের আধিক্যের উপর এবং টাকা ফেরত দেওয়ার ইতিহাসের উপর লোন পাওয়া নির্ভর করে। তবে অপেক্ষাকৃত বেশি হারে পার্সোনাল লোন পাওয়া যায়। এদিকে যদি কোনও আবেদনকারী কোনও ব্য়াঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার হন তাহলে তিনি সুদের হারের জন্য দর কষাকষি করতে পারেন।
অগ্রিম ঋণ পরিশোধের জন্য চার্জ (Foreclosure Charges) : ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ ঋণ নিয়ে থাকলে তিনি যদি মেয়াদের আগেই ঋণ পূরণ করে দিতে চান সেক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ককে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দিতে হয়। তাই কোনও ব্য়াঙ্কে লোনের আবেদন করার আগে পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সেই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন চার্জ জেনে তবেই আবেদন করা উচিত।