Beating rising inflation: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে কার্যকরী হতে পারে এই কৌশল, পাবেন দারুণ রিটার্ন!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 28, 2022 | 9:07 PM

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপে দিশাহারা ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। কমে গিয়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। কীভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে এই মূল্যবৃদ্ধির? 

Beating rising inflation: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে কার্যকরী হতে পারে এই কৌশল, পাবেন দারুণ রিটার্ন!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপে দিশাহারা ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছে। বিভিন্ন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে রিটার্ন মিলছে, তা মুদ্রাস্ফীতির হারের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ২০২২ সালের এপ্রিলে ভারতের খুচরো বাজারে মূদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৭.৭৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা ছিল গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মে মাসে তা কিছুটা কমে ৭.০৪ শতাংশে নেমে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের (+২/-২) আশপাশে থাকার কথা। কিন্তু, মুদ্রাস্ফীতির হার টানা পঞ্চম মাসের জন্য সেই আদর্শ স্তরের অনেকটাই উপরে রয়েছে। কীভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে এই মূল্যবৃদ্ধির?

মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা মানে কি?

মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা মানে, বিনিয়োগ থেকে আয় মুদ্রাস্ফীতির হারের থেকে বেশি হবে। যদি পণ্য ও পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধি, বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লাভের থেকে বেশি হয়, তাহলে সেই রিটার্ন অর্থহীন। অর্থাৎ, সেইক্ষেত্রে রিটার্ন শূন্য বলে ধরতে হবে।

কীভাবে ভারতে মুদ্রাস্ফীতিকে পরাস্ত করা যেতে পারে?

মুদ্রাস্ফীতির হার ভারতে দিনকে দিন বাড়ছে। স্পষ্টতই আগামী ১০-২০ বছরে মূদ্রাস্ফীতির হার বর্তমান সময়ের অনেক বেশি হবে। মুদ্রাস্ফীতিকে হারানোর সর্বোত্তম উপায় হল, এমনাবে বিনিয়োগ করা যাতে মুদ্রাস্ফীতির হারের সমান বা তার বেশি রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা একযোগে জানিয়েছেন, স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির এত বেশি রিটার্ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত কয়েক বছরে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হারও কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদে আকর্ষণীয় রিটার্ন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র শেয়ারবাজারের। শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদী লগ্নি মুদ্রাস্ফীতিকে হার মানাতে পারে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উপায়

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের দুটি উপায় রয়েছে। সরাসরি বাজারে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে তার জন্য বাজার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এর পাশাপাশি স্টক মার্কেটে ট্রেডিং সুবিধা দেয় করে এমন বেশ কয়েকটি সাইট রয়েছে। 5Paisa.com হল এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সহজেই, নিরাপদে এবং এমনকি নিজের ভাষায় লেনদেন করা যায়। বিশদে জানতে ক্লিক করুন। শেয়ারবাজার দীর্ঘ মেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে ভাল রিটার্ন দিয়েছে। তবে স্বল্প মেয়াদে বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে গবেষণা করে বিনিয়োগ করলে, শেয়ার বাজার থেকে আসা যে রিটার্ন আসবে, তা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।

ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড

শেয়ার বাজারের ঝুঁকি নিতে ভয় থাকলে, তাহলে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত বিনিয়োগ করে একটি বড় মাপের তহবিল তৈরি করা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডও দীর্ঘমেয়াদে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল রিটার্ন দিতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সঠিক তহবিল নির্বাচন করা অপরিহার্য। এর জন্য একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে, ইক্যুইটিগুলির উচ্চ অনুপাত সহ একটি দীর্ঘমেয়াদী, অর্থাৎ, সাত বছর বা তার বেশি সময়ের পোর্টফোলিও তৈরি করা উচিত।

Next Article