নয়া দিল্লি: দেশের ৮০ শতাংশ মানুষেরই যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হল ট্রেন। দূরের কোনও গন্তব্যে কম খরচে অথচ আরামে যাতায়াত করার জন্য অধিকাংশ মানুষই দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে পরিকল্পনার হঠাৎ বদল বা জরুরি কোনও কাজ পড়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে টিকিট বাতিল করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে এবার থেকে বদলে যাচ্ছে টিকিট বাতিলের নিয়ম। রেলযাত্রীদের এবার থেকে ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে হলেও গুনতে হবে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি। কারণ এবার থেকে টিকিট বাতিলের উপরও জিএসটি বসছে।
এতদিন ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের জন্য ৫ শতাংশ জিএসটি লাগত। এবার থেকে টিকিট বাতিলের জন্যও দিতে হবে জিএসটি। সম্প্রতিই অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় এই তথ্যই জানানো হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও যাত্রী যদি কনফার্ম হয়ে যাওয়া টিকিট বাতিল করেন, তবে তাকে তার জন্য ক্যানসেলেশন ফি ছাড়াও অতিরিক্ত জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ এবার থেকে ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে, একই টিকিটের উপরে দুইবার জিএসটি দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রকের ট্যাক্স রিসার্চ শাখার তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ট্রেনের টিকিট ও হোটেল বুকিং বাতিলের ক্ষেত্রেও জিএসটি দিতে হবে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্রেনের টিকিট বুকিং হল একধরনের চুক্তি, যা যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যখন যাত্রী এই চুক্তি ভঙ্গ করে ট্রেনের টিকিট বাতিল করে, তখন তাদের ক্যানসেলেশন চার্জ বাবদ টিকিটের একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক রেল কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। যেহেতু ক্যানসেলেশন চার্জকে পেমেন্ট বা আর্থিক লেনদেন হিসাবেই ধরা হয়, সেই কারণে এর উপরেও জিএসটি বসবে।
জানা গিয়েছে, যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে যাতায়াত করছেন, তার উপর নির্ভর করবে জিএসটি। টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে যাতায়াত করছেন, তার উপর নির্ভর করে টিকিটের দাম ও জিএসটি নেওয়া হয়, একইভাবে টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রেও সেই হারেই জিএসটি নেওয়া হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয়। যদি ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রথম শ্রেণির টিকিট বাতিল করেন, সেক্ষেত্রে ক্যানসেলেশন চার্জ বাবদ ২৪০ টাকা নেওয়া হয়। এর উপরে এবার থেকে ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে। অর্থাৎ ২৪০ টাকার সঙ্গে আরও ১২টাকা যোগ হবে জিএসটি বাবদ।