নয়া দিল্লি: জুলাই মাস থেকে কার্যকরী হয়েছে নতুন জিএসটির নিয়ম। একাধিক ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবার উপরে নতুন করে বসেছে জিএসটি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার কমেছে জিএসটির বোঝাও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একাধিক নির্দেশিকায় জিএসটি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানানো হয়েছে। তারপরও সাধারণের মনে জিএসটি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। এবার জনসাধারণের মনে জমে থাকা এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার তিনি সংসদের রাজ্যসভায় জিএসটি নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন।
ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রথমেই সংশয় রয়েছে চেকবুকের উপরে জিএসটি বসা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “জিএসটি নিয়ে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা ও গুজব রটেছে। এরমধ্যে অন্যতম হল ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের চেকবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জিএসটি দিতে হবে। এই ধারণা ভুল। এই জিএসটি গ্রাহকদের জন্য নয়, বরং ব্যাঙ্ক যেখান থেকে চেক প্রিন্ট করাবে, সেই পরিষেবার উপরে জিএসটি বসবে। একইসঙ্গে মৃতদেহ সৎকারের ক্ষেত্রে শশ্মান বা কবরস্থানে কোনও জিএসটি দিতে হবে না।”
অর্থমন্ত্রী জানান, গ্রাহকদের চেকবুক সংগ্রহ বা ব্যবহারের উপরে কোনও জিএসটি বসেনি। প্রিন্টারদের থেকে ব্যাঙ্কগুলি যে ছাপানো চেকবুক কেনে, তার উপরে জিএসটি বসছে। গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার উপরেও কোনও জিএসটি বসানো হয়নি।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, যেকোনও ধরনের সৎকার কাজের উপরই কোনও জিএসটি বসানো হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো তথ্য যে, মৃতদেহ সৎকারের জন্যও জিএসটি দিতে হবে। কেন্দ্রের তরফে নতুন শশ্মান বা কবরস্থান, যা দেহের অন্তেষ্টির জন্য ব্যবহার হয়, তা নির্মাণের ক্ষেত্রে জিএসটি লাগবে।
হাসপাতলের বেডের ক্ষেত্রেও সমস্ত বেডে জিএসটি বসানো হয়নি। একমাত্র যে বেডগুলির দৈনিক খরচ ৫ হাজার টাকার উপরে, সেগুলির উপরই জিএসটি বসবে। সাধারণ বেড বা আইসিইউয়ের উপরে কোনও জিএসটি বসবে না।