নয়া দিল্লি: এশিয়ার বৃহত্তম তথা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হল ভারতীয় রেলওয়ে। প্রতি বছর ভারতীয় রেলে প্রায় ৭০০ কোটিরও বেশি মানুষ ভ্রমণ করেন। এই সংখ্যাতেই বোঝা যায় যে গণপরিবহণ হিসাবে ভারতীয় রেলওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আগে রেলের তরফে প্রবীণ নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ও ক্রীড়াবিদদের টিকিটে ছাড় দেওয়া হত। তবে কোভিডকালের পর থেকে বয়স্কদের সেই ছাড় বা কনসেশন দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার মনে হতেই পারে যে যাত্রীদের তাহলে সম্পূর্ণ ভাড়া বহন করতে হয়। তা কিন্তু নয়। সরকার যাত্রী পরিবহনের জন্য কত টাকা খরচ করে জানেন? অঙ্কটা জানলে চমকে যাবেন।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রতি যাত্রী পরিবহনে একটা বড় অংশই খরচ করে ভারতীয় রেল। সরকার প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট পিছু ৫৫ শতাংশ ছাড় দেয়। অর্থাৎ যাত্রীদের ৫৫ শতাংশ সাশ্রয় হয় টিকিট বাবদ।
ভারতীয় রেলওয়ের ভাড়া কাঠামো ও পরিষেবাগুলি উল্লেখ করে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে প্রতি বছর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ রেলে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ রেলে যাতায়াত করেন। ভাড়ার কাঠামো বর্ণনা করে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, একজন যাত্রীর যাতায়াতের জন্য যদি ১০০ টাকা হলে, সরকার ৪৫ টাকা বহন করে। অর্থাৎ প্রতি যাত্রী গড়ে ৫৫ শতাংশ ছাড় পান টিকিটে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বমানের ট্রেন হিসাবে অমৃত ভারত ট্রেন আনা হচ্ছে। এই ট্রেনে মাত্র ৪৫৪ টাকায় ১০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করা যাবে। আগামী কয়েক বছরে দেশে কমপক্ষে ১০০০ অমৃত ভারত ট্রেন তৈরি করা হবে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রেলওয়ের মোট বার্ষিক ব্যয়ে অর্থাৎ পেনশন বাবদ ৫৫,০০০ কোটি টাকা, বেতন বাবদ ৯৭,০০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ব্যয় বাবদ ৪০,০০০ কোটি টাকা ও লিজ-সুদ বাবদ ৩২,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া রেলের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ আরও ১২,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়।