নয়া দিল্লি: দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সেমি হাইস্পিড সম্পন্ন বিলাসবহুল ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Sadharan Express) । সাধারণ ট্রেনের তুলনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া অনেকটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ইচ্ছা থাকলেও এরকম ঝাঁ চকচকে, উচ্চ গতি সম্পন্ন, নামি ট্রেনে ওঠার সামর্থ্য থাকে না। তবে এবার তাঁদের কথা চিন্তা-ভাবনা করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আদলেই এক নতুন ট্রেন আনার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Vande Sadharan train)। যার নাম হবে, বন্দে সাধারণ বা বন্দে অন্ত্যোদVande Sadharan trainয়। এটি নন-এসি ট্রেন হবে। তবে এর গতি এবং দেখতে হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই। এই ট্রেনের অসংরক্ষিত এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর স্লিপার কোচও থাকবে। শীঘ্রই এই ট্রেন চালু হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বন্দে ভারত-এর অবিকল
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আদলে যে নতুন ট্রেনটি আসছে, সেটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটির নাম বন্দে সাধারণ বা বন্দে অন্ত্যোদয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত, কম খরচে সাধারণ মানুষেরও ভালভাবে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এই ট্রেন নিয়ে আসা হচ্ছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, নতুন বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেসকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো কিছু সুবিধা দেওয়া হবে। তবে বন্দে ভারত এবং বন্দে সাধারণ ট্রেনের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উভয় দিক থেকে একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন, অন্যদিকে বন্দে সাধারণ লোকো দ্বারা চালিত হবে।
এসব সুবিধা পাবেন
বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেসের প্রতিটি প্রান্তে একটি লোকোমোটিভ-সহ ট্রেনটিকে ত্বরান্বিত করতে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এলএইচবি এই ট্রেনে ২টি সেকেন্ড লাগেজ, গার্ড এবং দিব্যাং-বান্ধব কোচ, 8টি দ্বিতীয় শ্রেণীর অসংরক্ষিত কোচ এবং ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণীর ৩-টিয়ার স্লিপার কোচ থাকবে। তবে সব কোচই হবে নন-এসি।
এখানে প্রোটোটাইপ প্রস্তুত করা হচ্ছে
নতুন বন্দে সাধারণ ট্রেনের লোকোমোটিভগুলি চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে (সিএলডব্লিউ) তৈরি করা হচ্ছে এবং ট্রেনের কোচগুলি চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) তৈরি করা হবে৷ ICF হল ভারতীয় রেলওয়ের একমাত্র কোচ কারখানা যেখানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন তৈরি হচ্ছে।
কবে চালু হবে বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস
রেলের এক আধিকারিক জানান, নতুন ট্রেনের প্রোটোটাইপ বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রেলওয়ে বোর্ড অক্টোবরের মধ্যে এই ট্রেন ট্র্যাকে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।