আইনের মুখোমুখি হতে দেশে ফিরছেন বিজয় মাল্য, মেহুল, নীরব মোদী: নির্মলা সীতারামন

২৫ ফেব্রুয়ারি নীরব মোদীর ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিল ব্রিটিশ আদালত।

আইনের মুখোমুখি হতে দেশে ফিরছেন বিজয় মাল্য, মেহুল, নীরব মোদী: নির্মলা সীতারামন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 18, 2021 | 10:01 PM

নয়া দিল্লি: আইনের মুখোমুখি হতে দেশে ফিরছেন প্রতারক ব্যবসায়ীরা। প্রত্যর্পণ হচ্ছে নীরব মোদীর (Nirav Modi), ফিরছেন বিজয় মাল্য ও মেহুল চোকসিও। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ব্রিটেন থেকে দেশে আসছেন বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীকে। সম্ভবত অ্যান্টিগুয়াতে রয়েছেন মেহুল চোকসি। সেখান থেকেও তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এ দিন রাজ্যসভায় বিতর্ক চলাকালীন বিমা বিলের সংশোধনের জবাব দিতে গিয়ে বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের ফিরে আসার কথা জানান সীতারামন। ৯ হাজার কোটি টাকা তছরূপের দায়ে অভিযুক্ত বিজয় মাল্য ২০১৬ সাল থেকেই রয়েছেন ব্রিটেনে। অন্য দিকে পঞ্জাব ন্যাশনাল তছরূপ কাণ্ডে অভিযুক্ত নীরব মোদী ও মেহুল চোকসিও দেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন।

২৫ ফেব্রুয়ারি নীরব মোদীর ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিল ব্রিটিশ আদালত। ব্রিটিশ আদালতে ভারত-প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি স্যামুয়েল গুজ বলেছিলেন, “এমন কোনও প্রমাণ নেই যেখান থেকে বলা যায় যে নীরব মোদী ভারতে ফিরলে ন্যায় পাবেন না।” এ কথা বলে নীরব মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিলেন স্যামুয়েল। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে নীরব মোদীর এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতির সাফ জানিয়েছিলেন, অবৈতনিক ঋণের ক্ষেত্রে নীরব মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ব্যাঙ্কের উচ্চতর আধিকারিকদের সঙ্গেও।

বিশ্ব জোড়া নাম হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর। তাঁর ‘ব্র্যান্ড’-এর হিরের গয়নায় এক সময় সেজেছে হলিউড থেকে বলিউড। গুজরাতের রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির এই ভাইপো ৪৬ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছিলেন বিজনেস ‘টাইকুন’। ফায়ারস্টার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান থেকে ফোর্বসের ৫৭ জন ধনীর তালিকায় অন্যতম, সাফল্যের ঝুলিতে কী ছিল না। কিন্তু এরই সঙ্গে তিনি যে নীরবে বহুদূর জাল বিস্তার করতে শুরু করেছিলেন, ২০১৮ সালে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সে বছরই ইডি নীরব মোদীকে ভারতে চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার হন নীরব মোদী।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বহিষ্কৃত ১১ বিজেপি নেতা