নয়া দিল্লি: অল্প বয়সে অনেকেই অনুভব করতে পারেন না যে বৃদ্ধ বয়সটা কতটা কষ্টের। আর্থিকভাবে ও শারীরিকভাবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে চান না কেউই। শেষ বয়সটা মানসিক শান্তিতে কাটানোই শ্রেয় বলে মনে করেন প্রত্যেকে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, কম বয়স থেকেই রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং করা উচিত।
সরকারি হোক বা বেসরকারি, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সাধারণত অবসরের বয়স হয় ৬০ বছর। কেউ যদি ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে চাকরি পেতে পারেন, তাহলে অবসরের পরিকল্পনা করা উচিত ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে। এই বয়সেই প্রত্যেকে পরিবার সম্পর্কে সচেতন হন, আর্থিক পরিস্থিতিটাও মোটামুটিভাবে বুঝে যান, তাই এটাই প্ল্যানিং শুরু করার সঠিক বয়স।
অটল পেনশন যোজনার ক্ষেত্রে ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে শুরু করা যেতে পারে। গ্রাহককে প্রতি মাসে কিছু টাকা করে জমা দিতে হয় ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত। বিনিয়োগ অনুযায়ী গ্রাহক ৬০ বছর বয়সের পর ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন পেতে পারেন।
এই স্কিমটি এলআইসি বা ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের। এই স্কিমে যে কোনও গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। ১০ বছর পর্যন্ত পেনশন পেতে পারে। কত পেনশন পাবেন, তা গ্রাহকের বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করে। যদি আপনি ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে ১০ বছর পর্যন্ত ৯,২৫০ টাকা করে মাসে পেনশন পাওয়া যায়। যত আগে এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করা যায়, তত বেশি পেনশন পাওয়া যায়।
যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি, তাঁদের জন্যই সরকার এই স্কিম চালায়। ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সে যাঁরা ভিআরএস নিয়েছেন, তাঁরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে সর্বাধিক ১৫ লক্ষ টাকা জমা করা যেতে পারে এই স্কিমে।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম হল একটি পেনশনের ভাল বিকল্প। এই স্কিমে বিনিয়োগের বেশিরভাগ অংশ বাজারে খাটানো হয়। সেখান থেকে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী যে কোনও নাগরিক এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।