নয়া দিল্লি: ব্যাঙ্ক (Bank) থেকে দিনে একবার হলেও নিশ্চয়ই ফোন আসে? ও প্রান্ত থেকে বলা হয়, “ব্যাঙ্ক আপনাকে দারুণ অফার দিচ্ছে, ক্রেডিট স্কোর্র ভিত্তিতে আপনি পাচ্ছেন প্রি-অ্যাপ্রুভ ৪-৫ লক্ষ টাকার ঋণ”। যাদের অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, তারা অনেকেই ব্যাঙ্কের এই অফার গ্রহণ করেন। তবে এই ঋণ নেওয়ার আগে জেনে নিন যে অগ্রিম স্বীকৃত ঋণ বা প্রি-অ্য়াপ্রুভ লোন (Pre-Approve Loan) আসলে কী। সাধারণ ঋণের থেকে এই ঋণের পার্থক্য়ই বা কোথায়।
প্রথমেই জানা উচিত, ব্যাঙ্কের একজন গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোরের (Credit score) উপরে ভিত্তি করেই প্রি-অ্যাপ্রুভ লোন দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক বা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রথমে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করা হয়। এতে আপনার আয় কত, ঋণের তুলনায় আয়ের হার কত- যাবতীয় তথ্যই যাচাই করা হয়। অন্যদিকে, সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহক আবেদন জমা দেওয়ার পরই ঋণদাতারা আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর যাচাই করে দেখে।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট ইউনিয়ন ও অন্যান্য় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে প্রি-অ্যাপ্রুভ লোন দেওয়া হয়। যখন একজন গ্রাহকের ভাল ক্রেডিট হিস্ট্রি এবং স্থায়ী উপার্জন থাকে, তখনই ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রি-অ্যাপ্রুভ লোন দেওয়া হয়। এই ঋণ দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য হল, যোগ্য গ্রাহকদের আরও পাকাপাকিভাবে নিজের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক বানাতে নির্ঝঞ্ঝাটে ঋণ দেওয়া।
এই ঋণের অন্য়তম সুবিধা হল এতে সময় সঞ্চয় হয়। যেহেতু ঋণদাতারা আগেই আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করে নিচ্ছেন, তাই ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক বেশি দ্রুত হয়। যাদের দ্রুত আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের জন্য এই ঋণ অত্য়ন্ত সাহায্য়কারী। এই ঋণের আরও একটি সুবিধা হল এই ঋণে সুদের হার কম হয় এবং সাধারণ ঋণের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধামূলক শর্ত থাকে। এই ঋণের আরও একটি সুবিধা হল এতে আর্থিক পরিকল্পনাও অনেক ভাল হয়। যেহেতু ঋণগ্রহীতা আগেই থেকেই জানেন যে কত টাকা ঋণ নিতে পারবেন এবং কত সুদের হার হবে। এতে বাজেট পরিকল্পনা আরও ভালভাবে করা যায়।