পুরনো গাড়ি বাতিল নিয়ে ধোঁয়াশা! কী জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী?
নিতিন গডকড়ী রবিবার জানিয়েছেন, পুরনো গাড়ি ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে, তা বাতিল করে নতুন গাড়ি কেনায় সুবিধা দেওয়া হবে গ্রাহককে। আর গডকড়ীর ঘোষণা অনুযায়ী, পুরো বিষয়টাই বাধ্যতামূলক।
কলকাতা: বায়ু দূষণ রুখতে পুরনো গাড়িতে গ্রিন ট্যাক্স বসানোর কথা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু অন্য দিকে উঠছে আলাদা একটি প্রসঙ্গও। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, পুরনো গাড়ি বাতিল করে নতুন গাড়ি কেনায় সুবিধা দেওয়া হবে ক্রেতাকে। যার ফলে কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বে গ্রিন ট্যাক্স। এমতাবস্থায় সরকারের দুই ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তিতে আম জনতা।
বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পুরনো গাড়ি বাতিলের করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে বাজেটে নির্মলার ঘোষণায় পুরো বিষয়টাই ছিল ঐচ্ছিক। কিন্তু নিতিন গডকড়ী রবিবার জানিয়েছেন, পুরনো গাড়ি ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে, তা বাতিল করে নতুন গাড়ি কেনায় সুবিধা দেওয়া হবে গ্রাহককে। আর গডকড়ীর ঘোষণা অনুযায়ী, পুরো বিষয়টাই বাধ্যতামূলক।
কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি ২০ বছর ও ব্যবসায়িক গাড়ি ১৫ বছর পুরনো হলেই এই নিয়মের আওতায় চলে আসবে। নির্মলা ও গডকড়ীর ঘোষণায় দ্বিধা কাটেনি সাধারণ মানুষের। যদি সব পুরনো গাড়ি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কার উপর বসবে গ্রিন ট্যাক্স! এই ধন্দ কাটছে না মানুষের। তবে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি, এই নিয়ম বাস্তবায়িত হলে বাড়বে নতুন গাড়ি বিক্রি। যার মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজকোষে ঘাটতি পূরণ হবে, তেমনই বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান! মাথায় কালি ঢেলে, শাড়ি পরিয়ে ঘোরাল বিজেপি নেতাকে
নিতিনের দাবি, নতুন গাড়ি বিক্রির মাধ্যমে এই শিল্পে ব্যবসার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। জোয়ার আসতে পারে যন্ত্রাংশ রফতানির ক্ষেত্রেও। বাতিল গাড়ির কাঁচামাল পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন যন্ত্রাংশের দাম কমতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে নতুন নীতির ফলে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লগ্নি আসতে পারে এই শিল্পে। কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৫০ হাজার জনের। এমনটাই দাবি পরিবহণ মন্ত্রীর।