Investments: কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজেই আপনার টাকা দ্বিগুণ হবে? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়
Investments: আইনস্টাইনের ভাষায় কম্পাউন্ড বা চক্রবৃদ্ধিই হলে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। একবার এই কম্পাউন্ডের খেলা বুঝে নিতে পারেল এই রাস্তাতেই কিছু সময়ের ব্যবধানে আপনার গচ্ছিত অর্থ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
কলকাতা: টাকা ছাড়া জীবন অচল। একদিকে অর্থ উপার্জন (Income) যেমন শক্ত, তেননই তা সঞ্চয় করা আরও কঠিন। তাহলে উপায়? টাকা দিয়ে টাকা বাড়াবেন কীভাবে? চলমান জীবনে অনেকে অবার সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা উদাসীন থাকেন। কিন্তু, আজ জীবন চললেও আগামীর জীবন সঙ্কট মোকাবিলা অর্থ ছাড়া কার্যত অসম্ভব। সেকারণেই মধ্যবিত্ত হোক বা উচ্চবিত্ত, কষ্টার্জিত টাকা কোথায় রাখলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন সকলেই। ব্যাঙ্ক নাকি পোস্ট অফিস, শেয়ার মার্কেট নাকি অন্যত্র, টাকা বিনিয়োগের (Investment) ক্ষেত্রে প্রায়শই দিশা খুঁজে পাননা বহু মানুষ। কিন্তু, সঠিক জায়গায়, সঠিক নিয়মে বিনিয়োগ করলেই পাওয়া যেতে পারে ভাল রিটার্ন। এমনকী সহজেই আপনার টাকা দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায় কম্পাউন্ড বা চক্রবৃদ্ধিই হলে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। একবার এই কম্পাউন্ডের খেলা বুঝে নিতে পারেল এই রাস্তাতেই কিছু সময়ের ব্যবধানে আপনার গচ্ছিত অর্থ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তবে এ জন্য শুধু সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলে রেখে নিশ্চিত থাকলে হবে না। অনেকেই ভাবেন ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন ব্যাঙ্ক সুদ দেবে। সেখান থেকেই দিব্যি চলে যাবে। কারম ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকউন্টে সুদের হার ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে হয়ে থাকে। সেখানে প্রতি বছর গড়ে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের আশেপাশে। সুতরাং আপনার টাকার মূল্য আদপেই থাকছে কমতির দিকে। তাহলে কী করা উচিৎ?
এমতাবস্থায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকে শুরুতেই ফিক্সড ডিপোজিট ও রিতারিং ডিপোজিটের কথা ভাবেন। যদিও দুই ক্ষেত্রেই সুদের হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকে। তা এখানেও টাকা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধির সুযোগ অনেকটাই কম। অনেকে আবার জুয়েলারির উপর বা গহনার উপর বিনিয়োগে জোর দেন। যদিও এখানেও আজকাল ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই সুদের হার দেখতে পাওয়া যায়। শেষে একটি দরজাই খোলা থাকে। সেটা শেয়ার মার্কেটের। এখানে সহজেই আপনি আপনার গচ্ছিত টাকা কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে পারেন। যদিও এখানে বিনিয়োগ করে লাভের গুড় খেতে হতে এই ময়দানে যথেষ্ট অভিজ্ঞ হওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। বুঝতে হবে ব্যবসার সমীকরণ। এছাড়াও রয়েছে আরও একটি বিনিয়োগের দরজা হিসাবে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এখানেও সহজ সমীকরণ বুঝে বিনিয়োগ করে ঘরে তুলতে পারেন ভালো লাভের অঙ্ক।