নয়া দিল্লি: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমশ। প্রভাব পড়ছে সব ক্ষেত্রেই। অর্থনীতির ওপরেও একইভাবে প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। অপরিশোধিত তেলের দামেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রভাব সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে ভারতের ১৪টি বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে। যার মধ্যে রয়েছে আদানি গ্রুপ থেকে টাটা।
ইজরায়েলে উপস্থিত এমন ভারতীয় সংস্থাগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে। ১৪টিরও বেশি ভারতীয় সংস্থা আছে। এর মধ্যে কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়েছে। ইজরায়েলের হাইফা বন্দরের মালিকানা আছে যে সংস্থার হাতে, সেই ‘আদানি পোর্টে’র শেয়ার ২.৫ শতাংশ কমেছে। সান ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় এই সংস্থার ইজরায়েলের ট্যারো ফার্মাসিউটিক্যালসের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
জেনেরিক ওষুধ কোম্পানি ড. রেড্ডিস এবং লুপিনের দিকেও নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে এনএমডিসি, জুয়েলারি নির্মাতা সংস্থা কল্যান জুয়েলার্স, টাইটানের সঙ্গেও ইজরায়েলের সম্পর্ক আছে।
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS), উইপ্রো, টেক মাহিন্দ্রা এবং ইনফোসিসের মতো সংস্থা রয়েছে ইজরায়েলে। এগুলির দিকেও নজর রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এছাড়াও স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI) এবং লারসেন অ্যান্ড টুবরো (এলএন্ডটি) রয়েছে, যাদের শেয়ারও সঙ্কটের কারণে প্রভাবিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজরায়েল যদি ইরানের তেলের পরিকাঠামোকে নিশানা করে, তাহলে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, উস্কানি অব্যাহত থাকলে আবারও হামলা চালাতে পারে তারা। তবে কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজসরায়েল ও আমেরিকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ওপর কড়া নজর রাখা দরকার।