Koo: টুইটারকে হারানোর দৌড়ে ছিল, কেন বন্ধ হয়ে গেল এই দেশী সোশ্যাল মিডিয়া?

Koo: বুধবার (৩ জুন), লিঙ্কডইনে সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এবং মায়াঙ্ক বিদাওয়াটকা জানিয়েছেন এদিন থেকে তাদের সব পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল। অথচ, মাত্র দুই বছর আগেই টুইটারকে হারানোর দৌড়ে ছিল তারা। সেই সময় কু-এর লাইক রেশিও ছিল ১০ শতাংশ, টুইটারের থেকে ৭-১০ গুণ বেশি।

Koo: টুইটারকে হারানোর দৌড়ে ছিল, কেন বন্ধ হয়ে গেল এই দেশী সোশ্যাল মিডিয়া?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 03, 2024 | 4:52 PM

নয়া দিল্লি: ভারতীয় স্টার্টআপ জগতে দুঃসংবাদ। বন্ধ হয়ে গেল দেশিয় মাইক্রোব্লগিং স্টার্টআপ ‘কু’ (Koo)। বুধবার (৩ জুন), লিঙ্কডইনে সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এবং মায়াঙ্ক বিদাওয়াটকা জানিয়েছেন এদিন থেকে তাদের সব পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল। অথচ, মাত্র দুই বছর আগেই টুইটারকে হারানোর দৌড়ে ছিল তারা। সেই সময় কু-এর লাইক রেশিও ছিল ১০ শতাংশ, টুইটারের থেকে ৭-১০ গুণ বেশি। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ভারতে টুইটারকে হারানোর থেকে মাত্র কয়েক মাস দূরে ছিল কু। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, টুইটারের থেকে অনেক কম সময়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল কু। টুইটারের থেকে তাদের সিস্টেম অনেক ভাল ছিল। অ্যালগরিদমেও অনেক এগিয়ে ছিল বলে দাবি করেছে তারা। তাহলে দুই বছরের মধ্যে কী হল? কেন বন্ধ করে দিতে হচ্ছে কু?

কু সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্বের আলোচনা ব্যর্থ হওয়াতেই তারা পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। কু-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতারা জানিয়েছেন, একাধিক বৃহত্তর ইন্টারনেট সংস্থা, সমষ্টি এবং মিডিয়া হাউসের সঙ্গে পার্টনারশিপের জন্য আলোচনা করেছে তারা। কিন্তু আলোচনাগুলি ফলপ্রসু হয়নি। অধিকাংশ সংস্থাই নাকি ব্যবহারকারীদের তৈরি কনটেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার ‘বন্য প্রকৃতি’র কথা বলে পিছিয়ে গিয়েছে। কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রায় কাছাকাছি গিয়েও মত বদলেছে। কিন্তু, কেন পার্টনারশিপের প্রয়োজন পড়ল কু-এর?

আসলে, করোনভাইরাস মহামারির পর ২০০২ থেকেই অধিকাংশ প্রযুক্তি সংস্থা নগদ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কু-ও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০২২-এর শেষে তারা প্রায় ৪০ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছিল। পরে ২০২৩-এ, সংস্থাটি আরও ছাঁটাই করা হবে বলে সতর্ক করেছিল কর্মীদের। সংস্থাটি মূলধন সংকটেও ভুগছে বলে জানা গিয়েছে। অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এবং মায়াঙ্ক বিদাওয়াটকা জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ শিখরে থাকা অবস্থাতেই সংস্থায় আঘাত হেনেছিল তহবিলের অভাব। যার ফলে, তাদের যাবতীয় পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছিল। আর সেখান থেকেই বৃদ্ধির গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল কু।”

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ভারত থেকে তাঁরা একটি আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্র্যান্ড তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ৫-৬ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন পুঁজির প্রয়োজন ছিল। অ্যাপটি তাঁরা চালু রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু, তার যে খরচ তা বহন করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে হয়েছে তাদের।