নয়া দিল্লি: সম্প্রতি একাধিক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। তারপরও বহু পড়ুয়ার কাছে এখনও লোভনীয় এই সেক্টর। বিশেষত টাটা-র সংস্থা টিসিএস বা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসে প্রতি বছর চাকরি পান বহু পড়ুয়া। অনেকেই এই সংস্থায় নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, আবার কেউ কেউ কেরিয়ার শুরু করার জন্য বেছে নেন টিসিএস-কে। তবে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, ফ্রেশারদের জন্য দিনের পর দিন বেতনের স্কেল একই রেখেছে এই সংস্থা। সংস্থা কর্তাদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।
জানা যায়, যাঁরা এই সংস্থায় প্রথম চাকরিতে যোগ দেন, তাঁদের বেতন হয় বছরে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। বছরের পর বছর এটাই চলে আসছে। এর ব্যতিক্রম হয় না। এই প্রসঙ্গে টিসিএস-এর চিফ এইচআর অফিসার জানিয়েছেন, সংস্থা সাধারণ কর্মীর বুদ্ধিমত্তা বিচার করে বেতন ধার্য করে। সেই সঙ্গে কর্মীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়। তাঁর কথায়, একজন ফ্রেশার যদি নিজের দক্ষতার ওপর জোর দেন, তাহলে তাঁরা বছরে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। এনআইআইটি বা আইআইটি থেকে অনেককে নিয়োগ করা হচ্ছে, যাঁদের বেতন বেশি।
এই প্রসঙ্গে ওই কর্তা আরও উল্লেখ করেন, শুরুতে বেতন কম দেওয়া হলে, আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠতে চাইবেন কর্মীরা। নিজেদের কর্মদক্ষতায় শান দিয়ে বাড়িয়ে নিতে পারবেন বেতন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, টিসিএস-এর কর্মী সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্তমানে কর্মী সংখ্যা কমো দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৩০৫। সেই প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেন এইচআর অফিসার। তবে সংস্থার দাবি, এখনও প্রতি বছর তারা প্রচুর লোক নিয়োগ করছে।