Old Monk: বাজারে আর কি পাওয়া যাবে না ওল্ড মঙ্ক? হঠাৎ কী হল?
Old Monk: সবথেকে বড় ডিস্ট্রিলারি বা ওল্ড মঙ্কের উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে গাজিয়াবাদে। ৭ বছর ধরে ব্রিউ বা প্রক্রিয়াজাত করা হয় এই রাম। আবার ওল্ড মঙ্ক বোতলবন্দি করা হয় পঞ্জাবে। হিমাচল প্রদেশের কসৌলেও মদ উৎপাদন করা হয়।

সিমলা: সুরাপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেরই পছন্দ রাম। তার মধ্যেও অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে। ভারতীয়দের রামের সবথেকে প্রিয় ব্র্যান্ডের নাম জিজ্ঞাসা করলে, অনেকেই উত্তর দেবেন ওল্ড মঙ্ক। তবে এই ব্র্যান্ড যাদের খুব প্রিয়, তাদের জন্য খারাপ খবর রয়েছে। আর নাও মিলতে পারে ওল্ড মঙ্ক। কেন জানেন?
নাহ, ওল্ড মঙ্ক প্রস্তুত বন্ধ হচ্ছে না, তবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে যেখানে ওল্ড মঙ্ক রাম তৈরি হয়, সেই জায়গা নিয়ে। জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের সোলানে তৈরি হয় ওল্ড মঙ্ক। মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি এই রাম তৈরি করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে কর দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত কর না মেটালে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০ বছর ধরে সম্পত্তি কর জমা দেওয়া হয়নি। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কর বাকি। বকেয়া করের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৫০ লক্ষ টাকা। সোলান পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, যদি দ্রুত কর মেটানো না হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে এবার। কারখানা সিলও করে দেওয়া হতে পারে বলেই জল্পনা রটেছে।
পুরসভা জানিয়েছে, কর মেটানোর জন্য এর আগেও একাধিকবার নোটিস পাঠানো হয়েছে, কিন্তু সংস্থার তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। এখন নতুন কর নির্ধারণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের পর থেকে কর বাড়তে চলেছে।
সোলানের কারখানায় নোটিস পাঠানো হলেও, সবথেকে বড় ডিস্ট্রিলারি বা ওল্ড মঙ্কের উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে গাজিয়াবাদে। ৭ বছর ধরে ব্রিউ বা প্রক্রিয়াজাত করা হয় এই রাম। আবার ওল্ড মঙ্ক বোতলবন্দি করা হয় পঞ্জাবে। হিমাচল প্রদেশের কসৌলেও মদ উৎপাদন করা হয়। সোলানে ওল্ড মঙ্ক রাম ছাড়াও বিয়ার, হুইস্কি তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম অ্যালকোহল ডিস্টিলারি হিসেবে পরিচিত মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি। ১৮৫৫ সালে এডওয়ার্ড ডায়ার নামক এক ব্রিটিশ নাগরিক প্রথম এই ব্রিউয়ারি বা মদ তৈরির কারখানা তৈরি করেন। পরে ১৯৬৯ সালে নরেন্দ্রনাথ মোহন নামক এক ভারতীয় সেই ব্রিউয়ারি কিনে নেন। সেখান থেকেই নাম হয় মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি লিমিটেড।

