Donate poop: মলত্যাগেই কোটি টাকা আয়, বাঁচছে হাজারো জীবন, রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা
Donate poop: অনেকেই এই ভাবে আয় করা শুরু করেছেন। কেউ কেউ এটাকে রীতিমতো ব্যবসার জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছেন। ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর, অনেকেই বলেছেন, 'এর মানে আমি শৌচাগারে ১০ লক্ষ ডলার ফ্লাশ করছি?'
ওয়াশিংটন: খাওয়া বা ঘুমের মতো, মলত্যাগও এক গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া। এমন কোনও মানুষ নেই, যে দিনে অন্তত একবার মলত্যাগ করে না। সবাই এটা করে থাকে। কিন্তু যদি আপনাকে বলি, আপনার প্রতিদিনের এই মলের দাম ৫০০ ডলার বা ভাপরতীয় মুদ্রায় ৪১ হাজার টাকা! অবাক হবেন তো? অবশ্যই হবেন। কিন্তু তাই বলে এটা কোনও দল্পকথা নয়। খাঁটি সত্য। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতেই মল দান করে বড়লোক হওয়ার ম্যাজিক মন্ত্র দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়ো অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি তাঁর একদিনের মলের জন্য ৫০০ ডলার পর্যন্ত কামাতে পারবেন। আসুন জেনে নিই ব্যাপারটা ঠিক কী –
কারা দিচ্ছে টাকা?
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি টলার.টি (taller.t) নামে এক ইউজার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, মল দান করে বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। কারা দিচ্ছে এই টাকা? goodnatureprogram.com নামে এক মার্কিন ওয়েবসাইট এই টাকা দিচ্ছে।
কত টাকা পাওয়া যাচ্ছে?
goodnatureprogram.com ওয়েবসাইট জানিয়েছে, একদিনের মলের বিনিময়ে মানুষ পাচ্ছেন ৫০০ ডলার করে। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় ৪১ হাজার টাকা। এই হিসেবে মাসে আয় দাঁড়ায় ১৫০০ ডলার বা প্রায় ১২ লক্ষ টাকা এবং বছরে ১,৮০০,০০ ডলার বা ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
কী হয় এই মল দিয়ে?
আসলে মানুষের অন্ত্রে মাইক্রোবায়োম নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। অনেক সময় বহু রোগের ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে, বাইরে থেকে ওই ব্যাকটেরিয়া রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়। আর এই ব্যাটেরিয়া সংগ্রহ করা হয় মানুষের মল থেকে। আর সেই কারণেই কোটি টাকা দিয়ে মানব মল কিনছে goodnatureprogram.com ওয়েবসাইট।
কীভাবে বাছা হয় মল দাতা?
তবে, যে কেউ মল দান করতে পারেন না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ভিডিয়ো স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমেই মল দাতা নির্বাচন করা হয়। দাতা নির্বাচনের জন্য আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া রয়েছে। দাতাদের কাছ থেকে প্রথমে তাদের মলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেই নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হয়, তার মল নিয়ে চিকিৎসক ও গবেষকদের কাজ হবে কিনা। তারপরই ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত মল সংগ্রহ করা হয়।
শৌচাগারে ১০ লক্ষ ডলার ফ্লাশ
আমেরিকা ও কানাডায় এই মল বিক্রির প্রবণতা ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকেই এই ভাবে আয় করা শুরু করেছেন। কেউ কেউ এটাকে রীতিমতো ব্যবসার জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছেন। ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর, অনেকেই বলেছেন, ‘এর মানে আমি শৌচাগারে ১০ লক্ষ ডলার ফ্লাশ করছি?’