নয়া দিল্লি: মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বড় ধরণের কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চলেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই (CBSE)। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবম-দশম শ্রেণিতে সম্ভবত দুটি ভাষার বদলে তিন ভাষা পড়তে হবে। এই তিন ভাষার মধ্যে অন্তত দুটি হবে ভারতীয় ভাষা। বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৫টির বদলে ১০টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। একইভাবে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তে হতে পারে একটির পরিবর্তে দুটি ভাষা। যার অন্তত একটি হবে ভারতীয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে, পাঁচটির পরিবর্তে উত্তীর্ণ হতে হবে ছয়টি বিষয়।
সূত্রের খবর, ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে জাতীয় স্তরে স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি ক্রেডিট ভিত্তিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে সিবিএসই। সেই লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে একটা আকাদেমিক সমতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে, কোনও শিক্ষার্থী চাইলেই মসৃণভাবে, একটি শিক্ষা ব্যবস্থা ছেড়ে অন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়া শুরু করতে পারে। আসলে, সিবিএসই-র মতে, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে যে স্কুল পাঠ্যক্রম জারি করা হয়েছিল, তাতে ক্রেডিট-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার কোনও পরিসর নেই। তাই কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।
সিবিএসই-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনও শিক্ষার্থীকে কোনও বিষয় বছরে ১,২০০ ঘণ্টা পড়ানো হবে। এর মধ্যে আকাদেমিক এবং নন-আকাদেমিক শিক্ষা – দুইই থাকবে। আর এই ১২০০ ঘণ্টার পঠনপাঠনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ৪০টি ক্রেডিট দেওয়া হবে। নয়া উদ্যোগে সামিল হতে, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির পাঠ্যক্রমে আরও বিষয় যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিবিএসই (CBSE)। ‘ভোকেশনাল’ এবং ‘ট্রান্সডিসিপ্লিনারি’ কোর্সও অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। গত বছরের শেষদিকেই সিবিএসই-র অধিনে থাকা স্কুলগুলিতে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এই পরিকল্পিত কাঠামোগত পরিবর্তনগুলির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কী কী পরিবর্তন ঘটল?
দশম শ্রেণির বোর্জ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। ক্রেডিট-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায়, শিক্ষার্থীদের সাতটি প্রধান বিষয় এবং তিনটি ভাষা – সব মিলিয়ে ১০টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। একাদশ-দ্বাদশে পাঁচটি বিষয়ের বদলে পড়তে হবে ৬টি বিষয়। এর মধ্যে থাকবে দুটি ভাষা এবং চারটি প্রধন বিষয়। এছাড়া একটি ঐচ্ছিক বিষয়ও পড়তে হবে।