বর্তমান যুগে জালিয়াতির ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। অনলাইন লেনদেন থেকে শুরু করে,ই-কমার্স সংস্থায় কেনাকাটার ক্ষেত্রে এই আর্থিক জালিয়াতির ঘটনার নজির পাওয়া গিয়েছে। পিছিয়ে নেই চাকরি ক্ষেত্রও। আজকালকার জমানায় ভুয়ো চাকরির প্রবণতাও বেড়েছে। গত সপ্তাহেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার তরফে জানানো হয়েছিল, ১৩০ জন কর্মীকে ভুয়ো চাকরির হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়াতে সেইসব কর্মীদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কোনও নাগরিক যাতে আর ভুয়ো চাকরির ফাঁদে পা না দেন তাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ভুয়ো অনলাইন চাকরির অফার সনাক্তকরণের পাঁচটি উপায় জানিয়েছে।
1.নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথোপকথনের পর সঙ্গে সঙ্গেই আপনি যদি নিয়োগপত্র পান তবে এটি ভুয়ো চাকরির ইঙ্গিত হতে পারে।
2. নিয়োগপত্র বা অফার লেটারে আরেকটি সতর্কতামূলক চিহ্ন হল চাকরির বিশদ বিবরণ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট/অফার লেটারে যদি কাজের প্রয়োজনীয়তা/চাকরির বিবরণ স্পষ্ট করে উল্লেখ না থাকে তাহলে সতর্ক থাকুন।
3. ইমেলের ভাষা নোট করুন। যদি লেখায় ভুল থাকে তবে এটি প্রতারণা হতে পারে।
4. যদি একজন সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চান, তাহলে এটি একটি কেলেঙ্কারি হতে পারে। কোনও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।
5. যদি আপনাকে আপনার কাজের প্রস্তাবের জন্য টাকা দিতে বলা হয়, তাহলে এটি প্রতারণাও হতে পারে।
তবে অনেকেই এই পাঁচটি উপেক্ষা করে হয়তো জালিয়াতদের ফাঁদে পা দিতে পারেন। তবে সাইবার অপরাধের জালে জড়িয়ে পড়া চাকরিপ্রার্থীরা cybercrime.gov.in এ অভিযোগ করতে পারেন।