কলকাতা: করোনা পরবর্তী সময়ে একদিকে যেমন আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে, তেমনই কর্মক্ষেত্রেও এসেছে আমুল পরিবর্তন। পুরনো চাকরিতে ফিরতে চাইছেন না অনেকে। কেউ কেউ আবার পুরনো শাখা বদল করে নতুন কোনও পেশা বেছে নিতে চাইছেন। বিগত দুই বছরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সংস্কৃতির কারণে কর্মপদ্ধতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। একাধিক পেশা যেমন গুরুত্ব হারিয়েছে, তেমনই আবার বেশ কিছু শাখার চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। ‘জেন-জেড’ যারা কর্মজীবনে পা রাখবে, তারা কোন পেশা বেছে নেবে তা বুঝতে উঠতে পারছে না। যদি আপনিও এই প্রজন্মের হন, তবে কোন কোন পেশা বেছে নিলে সহজেই চাকরি মিলবে, তার তালিকা দেওয়া হল-
বিগত কয়েক বছরে চাকরির বাজারে যে পরিবর্তনগুলি এসেছে, তার উপর ভিত্তি করেই সবথেকে চাহিদায় থাকা চাকরিগুলি বেছে নেওয়া হয়েছে ।
১. সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট- চাকরির বাজারে চাহিদার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট। গত বছর থেকে বর্তমান সময় অবধি দেশের মোট নতুন কর্মসংস্থানের মধ্যে ২৬.৯ শতাংশ কর্মসংস্থানই হয়েছে এই ক্ষেত্র থেকে।
২. তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা- তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। করোনা পরবর্তী সময়েও তথ্য় প্রযুক্তি বা আইটি সংস্থায় চাকরির চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে সবথেকে বেশি কর্মসংস্থানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাই। প্রায় ২০.৬ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে বিগত এক বছরে।
কেনা-বেচা বা বাণিজ্য- করোনা পরবর্তী সময়ে সবথেকে কম কর্মসংস্থান যে ক্ষেত্রে হয়েছে, তা হল বাণিজ্য। মাত্র ০.৩ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বিগত এক বছরে।
বিগত দুই বছরের নিয়োগ ও আয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইটি ইঞ্জিনিয়াররাই সবথেকে বেশি আয় করেছেন। এরমধ্যে যাদের কাজের অভিজ্ঞতা ৫ থেকে ১০ বছর, তারাই সবথেকে বেশি মাইনে পাবেন।
১. কর্মসংস্থান ও বেতনের নিরিখে শীর্ষস্থানে বরাবরই রয়েছে বেঙ্গালুরু। দেশের প্রায় ১৭.৬ শতাংশ কর্মসংস্থানই হয় বেঙ্গালুরুতে।
২. কর্মসংস্থানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ১১.৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হয় দিল্লিতে।
৩. তিন নম্বর স্থানে রয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। দেশের মধ্যে ১০.৪ শতাংশ কর্মসংস্থান হয় মুম্বইয়ে।
৪. চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়ডা। দেশের মধ্যে ৬ শতাংশ কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি হয় নয়ডায়।