নয়া দিল্লি: পেশাগতভাবে নবীনদের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই প্রথম সারিতে নাম থাকে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের। এবার সেই দেশের অন্যতম বৃহৎ সেই তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থার তরফে জানানো হল, গত কয়েক মাসে কয়েক হাজার ‘ফ্রেশার’কে চাকরি দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থা। মাত্র ৬ মাসে ৩৫ হাজার ‘ফ্রেশার’ চাকরি পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার টিসিএসের তরফ থেকে পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে ৩৫ হাজার ‘ফ্রেশার’ চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মাত্র তিন মাসেই চাকরি পেয়েছেন ২০ হাজার ‘ফ্রেশার’। তবে নবীনদের চাকরি দেওয়ার নজির এই সংস্থার জন্য প্রথম নয়। ২০২২ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে ৪৩ হাজার ‘ফ্রেশার’ সংস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন, আর ওই বছরে মোট নিয়োগ হয় ১ লক্ষ।
টিসিএস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে আরও নিয়োগ করা হবে এই সংস্থায়। মোটামুটিভাবে ১০ থেকে ২০ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে বলে সূত্রের খবর। তবে কাজের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হবে, কতজনকে নিয়োগ করবে সংস্থা। পরিসংখ্যান বলছে গত ত্রৈমাসিকে টিসিএসে কর্মী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৭১। তবে গত বছর এই একই ত্রৈমাসিকে কর্মী সংখ্যা যতটা বেড়েছিল, এবার তার থেকে সংখ্যাটা কিছুটা কম।
টিসিএসের চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লাক্কাড জানিয়েছেন, বরাবরই নতুন ছেলেমেয়েদের দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিয়োগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংস্থার ব্যবসাও বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিভিন্ন তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা থেকে যখন কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর আসছে, তার মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখাল টিসিএস। সম্প্রতি, জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মতো সংস্থাও কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে। অভিযোগ, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে ফেসবুক থেকে। সম্প্রতি ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গ তাঁর সম্পত্তি খুইয়েছেন। এরপরই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সংস্থা।