নয়া দিল্লি: ইলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে টুইটারের মালিকান যাওয়ার পর জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে একের পর এক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টুইটারের কর্মরত ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন মাস্ক। ৯০ শতাংশ ভারতীয় টুইটার কর্মীর চাকরি গিয়েছে। পিছিয়ে নেই ফেসবুকের মাদার কোম্পানি মেটাও। সেখান থেকেও একসঙ্গে প্রায় ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একের পর এক বেসরকারি সংস্থাও ক্রমশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে।
যেখানে বিশ্বসেরা বহুজাতিক সংস্থাগুলি একের পর এক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে প্রমাদ গুনছেন একের পর এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। সাধারণত রাজস্বে ঘাটতি, খরচ বাঁচানো সহ একাধিক কারণে কর্মীদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কোনও সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি সংস্থায় যোগ দেওয়া কর্মী, উচ্চ বেতনের কর্মচারী, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি।
কোনও সংস্থায় সম্প্রতি যে সব কর্মীরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের বরখাস্ত হওয়ার ঝুঁকি সব থেকে বেশি। কারণ সাধারণভাবে সব সংস্থায় তাদের পুরনো কর্মীদের তুলনামূলকভাবে বেশি মূল্য দেয়। বিজনেজ ইনসাইডারের রিপোর্ট বলছে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে কোনও সংস্থা গড়ে ১ বছর ২ মাস সংস্থায় কর্মরতদেরই বেছে নেয়।
২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী কর্মী যাদের মিলেনিয়ালস বলে তারা করোনা প্যানডেমিকের সময় ইস্তফার বিনিময়ে অনেক ভাল অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু বরখাস্ত হওযার ক্ষেত্রে তাদের ঝুঁকি সব থেকে বেশি, গবেষণায় এমনটাই পাওয়া গিয়েছে।
কোনও বেসরকারি সংস্থায় যেসব কর্মীদের বেতন বেশি, তাদের চাকরি হারনোর সম্ভাবনাও বেশি। খরচ বাঁচাতে তাদেরকে প্রথম বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কোনও সংস্থা।
কোনও সংস্থা লোকসানে চললে অথবা সেই সংস্থার নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সংস্থা এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে। একের পর এক ত্রৈমাসিকে সংস্থা যদি লাভের মুখ না দেখে অথবা অন্য কোনও সংস্থা যদি অধিগ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা প্রবল।