নয়া দিল্লি: গতমাসেই ‘মুনলাইটিং’ (Moonlighting) এর কারণে সংস্থার ৩০০ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি। এবার রিশদ জানিয়েছেন, সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ২০ জন সিনিয়র আধিকারিকের একজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে তাঁকে সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে ন্যাসকর প্রোডাক্ট কনক্লেভে বক্তব্য রাখার রিশদ বলেন, “আমরা ১০ মিনিটে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই ব্যক্তির ওপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কখনও কখনও কঠিন সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।” কিন্তু মুনলাইটিংয়ের কারণে সংস্থার এই শীর্ষ আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি রিশদ। সততাকে যে উইপ্রো বাড়তি গুরুত্ব দেয়, এই সিদ্ধান্ত থেকে আরও একবার তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন রিশদ।
রিশদের মতে ‘মুনলাইটিং’ পেশাদারদের জন্য একটি অসৎ পথ এবং উইপ্রোতে কোনওভাবেই তা বরদাস্ত করা হবে না। অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভায় ওই মন্তব্য করেছিলেন রিশদ। কোনও এক সংস্থা কর্মরত হয়ে, সেই সংস্থা থেকে বেতন নেওয়ার পর কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে যদি অর্থের বিনিময়ে অন্য কোনও সংস্থার হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ‘মুনলাইটিং’ বলে।
৩০০ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে রিশদ বলেন, “কোনও কর্মী আমাদের সংস্থাতে চাকরি করার পাশাপাশি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হয়েও কাজ করছে, এটা কোনওভাবেই উচিত নয়। সেই কারণে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
এক সংস্থায় চাকরি করা সত্ত্বেও অন্য সংস্থার হয়ে অনেক তথ্য প্রযুক্তি কর্মী কাজ করেন। দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করার সুবাদে অর্থের বিনিময়ে অন্য সংস্থার হয়ে কাজ করা যায়। একেই এক কথায় ‘মুনলাইটিং’ বলে। ভারতে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই নিয়ে ভিন্ন মতামত রয়েছে। কোনও সংস্থা মনে করে মুনলাইটিংয়ের মধ্যে কোনও অপরাধ নেই আবার কারও মতে নৈতিক দিক থেকে এই কাজ অনুচিত।