পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বাজারে বিজেপির (BJP) সক্রিয় কর্মীকে মারধর করে টাকা লুঠ করার অভিযোগ উঠল ওই ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর (TMC) বিরুদ্ধে। বাবু চক্রবর্তী নামে ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ তিনি যখন নিজের দোকানে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত ছিলেন , তখন বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করার সাথে সাথে তাঁর দশকর্মা ভাণ্ডারের জিনিষপত্র লন্ডভন্ড করে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
বিজেপি নেতার কথায়, “আমি আমার দোকানেই কাজ করছিলাম। সেইসময় আচমকা এসে আমার উপর তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায়। দোকানের জিনিসপত্র সব ভেঙেছে। আমার ক্যাশবাক্স ভেঙে সব টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে।”
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমিতাভ বসু। তাঁর মন্তব্য, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ওয়ার্ডে বিজেপি বুথে স্লিপ দেওয়ার লোক পাচ্ছে না। তাই সস্তায় প্রচারের জন্য এইরকম মিথ্যা অভিযোগ আনছে।” অমিতাভবাবুর পাল্টা দাবি, বিজেপি জেলা সম্পাদক দিলীপ দে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মধুসূদন দে-কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সমস্ত কিছুই ক্যামেরাবন্দি করা আছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা। তিনি আরও বলেন, “এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের একাধিক ব্যানার ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি ইচ্ছা করে নির্বাচনের আগে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।”
এদিকে, গত মঙ্গলবার বিধাননগরে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো এবং কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবির। সেই ঘটনাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ঘটনার পরে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী কার্যালয় পরিদর্শন করেন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর তোলেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগরের পুর ভোট। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ ফেব্রুয়ারি। স্ক্রুটিনি ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ তারিখ ফেব্রুয়ারি। সাউথ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হবে নির্বাচন। তবে এখনও পর্যন্ত গণনার দিন জানায়নি কমিশন।
বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি। কোভিড পরিস্থিতি মানতে হবে। এখনও পর্যন্ত প্রচারের সময় একই রাখা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএম, এসপি-দের সঙ্গে বৈঠক। ওই বৈঠকের পর প্রচারের সময় বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে গণনার দিন নিয়েও আলোচনা হবে। ১ জানুয়ারি ২০২২ এর ভোটার তালিকা মেনে ভোট হবে। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক হবে। তার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল, ১২ ও ২৭ তারিখের নির্বাচনের গণনা যাতে এক দিনে করা হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়। নোটিফিকেশনে গণনার দিন বলা হয় না। পরবর্তীতে ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশন গণনার দিন জানায়নি। যেটা জানা যাচ্ছে, গণনা হবে ২৯ কিংবা ৩০ তারিখ। এক্ষেত্রে একই দিনে গণনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না। দু-একদিনের মধ্যেই গণনার দিন জানিয়ে দেবে কমিশন।
বিস্তারিত আসছে…