কলকাতা: রাজ্যের বাকি ১০৮ পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি। পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোনয়ন জমার নির্দেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কমিশন।
বৃহস্পতিবার ১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ ফেব্রুয়ারি। স্ক্রুটিনি ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ তারিখ ফেব্রুয়ারি। সাউথ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হবে নির্বাচন। তবে এখনও পর্যন্ত গণনার দিন জানায়নি কমিশন।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি। কোভিড পরিস্থিতি মানতে হবে। এখনও পর্যন্ত প্রচারের সময় একই রাখা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএম, এসপি-দের সঙ্গে বৈঠক। ওই বৈঠকের পর প্রচারের সময় বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে গণনার দিন নিয়েও আলোচনা হবে। ১ জানুয়ারি ২০২২ এর ভোটার তালিকা মেনে ভোট হবে। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক হবে। তার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
খোলা জায়গায় মিটিংয়ে জমায়েতের ক্ষেত্রেও এবার ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২৫০ জনের পরিবর্তে ৫০০ জন করা হচ্ছে। অডিটোরিয়ামে ২০০ লোক। কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে এবারের নির্বাচনে। আগে পাবলিক মিটিংয়ের ক্ষেত্রে ২০০ জনকে অনুমতি দেওয়া হত। সেটি এবার ৫০০ করা হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সভা করার ক্ষেত্রে ৫০০ লোকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাইলেন্ট পিরিয়ড ৭২ ঘণ্টা কমিয়ে ৪৮ ঘণ্টা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। ৪৮ ঘণ্টা আগেই তাঁরা প্রচার বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন এখনও পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টাই সাইলেন্ট পিরিয়ড রেখেছে। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল, ১২ ও ২৭ তারিখের নির্বাচনের গণনা যাতে এক দিনে করা হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়। নোটিফিকেশনে গণনার দিন বলা হয় না। পরবর্তীতে ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশন গণনার দিন জানায়নি। যেটা জানা যাচ্ছে, গণনা হবে ২৯ কিংবা ৩০ তারিখ। এক্ষেত্রে একই দিনে গণনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না। দু-একদিনের মধ্যেই গণনার দিন জানিয়ে দেবে কমিশন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “যেহেতু কোভিড বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনও সেটা স্বীকার করেছে। আমরা চাইছিলাম যে জনগণের বেশি মাত্রা অংশগ্রহণের জন্য ও ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য এক কিংবা দু সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। আদালতও তাই বলেছিল। সেটা মানেনি কমিশন। আমরা ভেবে দেখছি পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা যায়। আদালতে যাব কিনা!”
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের খুলল স্কুল, অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে কোভিড বিধি