School Reopening: রাজ্যে ফের খুলল স্কুল, অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে কোভিড বিধি
School Reopening: কীভাবে চলবে ক্লাস? কতটা মানা যাবে কোভিড বিধি, চিন্তায় শিক্ষক শিক্ষিকারা। এক নজরে দেখা যাক শহর থেকে জেলার স্কুলগুলির আজকের চিত্র।
কলকাতা: বাজল স্কুলের ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলল স্কুল। রাজ্যের নির্দেশে আগেই শেষ হয়েছে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া। জেলার স্কুলগুলোতেও ঝাড়াই-সাফাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। দফায় দফায় বন্ধের পর ফের খুলল স্কুল। তবে কীভাবে চলবে ক্লাস? কতটা মানা যাবে কোভিড বিধি, চিন্তায় শিক্ষক শিক্ষিকারা। এক নজরে দেখা যাক শহর থেকে জেলার স্কুলগুলির আজকের চিত্র।
বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন
সকাল ৯.১৫ থেকে শুরু হয় ক্লাস। সময় হাতে রেখেই স্কুলে ঢুকে যায় পড়ুয়ারা। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই তাদেরকে স্কুলে ঢোকানো হয়। তার আগে স্যানিটাইজেশন ও থার্মাল গানের মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হয়। শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মচারী, ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেককেই কোভিড বিধি মেনে স্কুলে ঢোকানো হয়। মাস্ক তো অবশ্যই আবশ্যিক।
বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বলেন, “স্কুল খুলেছে. এটা একশো বার একটা আনন্দের খবর। দুবছর পর স্কুল খুলল। বাচ্চাগুলো স্কুলে আসতে পেরে দারুণ খুশি। গেট থেকেই কোভিড বিধি আমরা মানার চেষ্টা করছি। সোশ্যাল ডিসেন্সিং মেনটেইন করেই বাচ্চাগুলোকে স্কুলে ঢোকাচ্ছি। আমরা ফুট স্টেপ দিয়ে দিয়েছি। স্কুলের সমস্ত সিঁড়িগুলিকে অ্যাসাইন করে দেওয়া হয়েছে। কোন ক্লাসের পড়ুয়া কোন সিঁড়ি দিয়ে ক্লাসরুমে যাবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি টিফিনের সময়েও পড়ুয়ারা নিজের সিট থেকে বের হবে না। নিজেদের সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ফুট স্যানিটাইজার বসানো হয়েছে। শুকনো টিফিন আনতে বলা হয়েছে। টিফিন শেয়ারিং করতে মানা করা হয়েছে। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের স্কুলের তরফ থেকে কী কী কোভিড প্রোটকল মানা হচ্ছে, তা বলা হয়েছে অভিভাবকদের। যদি ক্লাস এইটের বাচ্চাদের অভিভাবকরা তাতে সন্তুষ্ট হন, তাহলে বাচ্চাদের পাঠাবেন। এটা একান্তই তাঁদের ব্যাপার। তা না হলে দুদিন পর পাঠাবেন। যেহেতু ওদের এখনও ভ্যাক্সিনেশন হয়নি।”
রুবি পার্ক ডিপিএস
এখানেও খুবই সচেতনতার সঙ্গে কোভিড বিধি পালন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর ১৬ নভেম্বর স্কুলে এসেছিল পড়ুয়ারা। তারপর ফের বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। আজ থেকে ফের খুলল স্কুলের দরজা। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা। এই স্কুলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস করারও সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ এখানে হাইব্রিড মোডে ক্লাস চলছে। যারা বাড়িতে রয়েছে, তারা সরাসরি সেখানে থেকেই ক্লাসরুমের আবহ উপভোগ করতে পারছে। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, “বাচ্চাগুলোর মেন্টাল হেলথের একটা ইস্যু থাকে। আমাদের এখানে ২০ জন করে ক্লাসে আসছে। বাকিরা বাড়ি থেকে। ফের এটা রোটেড হচ্ছে।”
এক ছাত্রীর কথায়, “খুব মজা হচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। টিচারদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সবারই খুবই ভালো লাগছে। অনলাইনের থেকে অফলাইনে কনসেনট্রেশন বেশি থাকছে।”
বারাসত গান্ধী মেমোরিয়াল স্কুল
স্কুলের দুটি গেটে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরু হল। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই ক্লাসরুমে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত যেহেতু পাড়ার শিক্ষালয়ে ক্লাস হবে, সেক্ষেত্রে স্কুলের মাঠ না থাকায় এখানে বাইরে আলাদা তাবু তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ক্লাস হবে। প্রাইমারি সেকশনের ক্ষেত্রে ৭ তারিখ থেকে স্কুল খুলবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি গার্লস
প্রায় ২ বছর পর স্কুলের মুখে দেখা। সকাল ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হবে। স্যানিটাইজেশন ও থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা দেখে স্কুলে ঢোকানো হবে পড়ুয়াদের। কোভিড প্রোটোকলকে মান্যতা দিয়ে এক বেঞ্চে দুজন করে ছাত্রী বসবে। সব মিলিয়ে খুশির হাওয়া স্কুলে।
তবে এবার পড়ুয়া শিক্ষকদের হাজিরায় কড়া নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। রোজ কতজন পড়ুয়া ও শিক্ষকশিক্ষিকারা স্কুলে আসছে, তা গুগল শিটে উল্লেখ করে রোজ সকাল ১১টার মধ্যে বিকাশভবনে জমা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। যদি দেখা যায়, আশানুরূপ উপস্থিতির হার নেই, সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বিকাশভবন।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত সময়ে ফের মহানগরে মেট্রো বিপত্তি! ব্যাহত পরিষেবা