কলকাতা: পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত বিধাননগর। বিধান নগরে ভোটের আগে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জমায়েত। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২ । লেকটাউন থানার গোলাঘাটা এলাকা থেকে বহিরাগত সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের অস্ত্র আইন ধারা মামলা রুজু করে বিধান নগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্র মারফত খবর, বৃহস্পতিবার রাতে তন্ময় মুখোপাধ্যায় ও সম্রাট পাল নামে দুই যুবক বাইকে বিধাননগর পৌরনিগম সংলগ্ন এলাকায় ঢুকেছিল। তন্ময় বেলেঘাটার বাসিন্দা ও সম্রাট ফুলবাগানের বাসিন্দা। এলাকায় বাইক নিয়ে ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই কেউ থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া করে পুলিশ। তন্ময় ও সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ছিল। কী কারণে তারা বিধাননগরে ঢুকেছে, তারও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা। এরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সেভেন এম এম পিস্তল ও এক রাউন্ড কার্তুজ। ভোটে সন্ত্রাস হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিরোধীরা বারংবার সরব হয়েছেন। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্যই তারা ঢুকেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার ২২টি পয়েন্টে নাকা চেকিং বসেছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে বহিরাগতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করল লেকটাউন এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অস্ত্র আইন ধারা মামলা রুজু করেছে। তাদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। যে এলাকা থেকে তন্ময় ও সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখান থেকে লেকটাউন ব্রিজ ধরে ঢুকে যাওয়া যায় বিধাননগর এলাকায়।
উল্লেখ্য, পুরভোটে শুধু বিধাননগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দারস্থ হন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর কর্পোরেশনের ভোট। গত রবিবার রাত থেকেই নিউটাউন, নারায়ণপুর, মহিষবাথানের মতো এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধাননগরে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাচ্ছেন বিরোধীরা। হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনের সময়ে বিধাননগরে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন প্রকাশ্যেই হকি স্টিক নিয়ে লাফালাফি, বাঁশ হাতে তাণ্ডব, আবাসনে ঢুকে উন্মত্ত দাপাদাপি, হামলা, আবাসিক ভোটারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাত বছর আগের সেই সন্ত্রাসের কথা আদালতেও উল্লেখ করেছে বিজেপি।
এরই মধ্যে ফের বিধাননগর সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই দুষ্কৃতীর গ্রেফতারে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। আদৌ কি শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বিধাননগরে? কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত বিধাননগর। বিধান নগরে ভোটের আগে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জমায়েত। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২ । লেকটাউন থানার গোলাঘাটা এলাকা থেকে বহিরাগত সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের অস্ত্র আইন ধারা মামলা রুজু করে বিধান নগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্র মারফত খবর, বৃহস্পতিবার রাতে তন্ময় মুখোপাধ্যায় ও সম্রাট পাল নামে দুই যুবক বাইকে বিধাননগর পৌরনিগম সংলগ্ন এলাকায় ঢুকেছিল। তন্ময় বেলেঘাটার বাসিন্দা ও সম্রাট ফুলবাগানের বাসিন্দা। এলাকায় বাইক নিয়ে ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই কেউ থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া করে পুলিশ। তন্ময় ও সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ছিল। কী কারণে তারা বিধাননগরে ঢুকেছে, তারও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা। এরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সেভেন এম এম পিস্তল ও এক রাউন্ড কার্তুজ। ভোটে সন্ত্রাস হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিরোধীরা বারংবার সরব হয়েছেন। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্যই তারা ঢুকেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার ২২টি পয়েন্টে নাকা চেকিং বসেছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে বহিরাগতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করল লেকটাউন এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অস্ত্র আইন ধারা মামলা রুজু করেছে। তাদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। যে এলাকা থেকে তন্ময় ও সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখান থেকে লেকটাউন ব্রিজ ধরে ঢুকে যাওয়া যায় বিধাননগর এলাকায়।
উল্লেখ্য, পুরভোটে শুধু বিধাননগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দারস্থ হন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর কর্পোরেশনের ভোট। গত রবিবার রাত থেকেই নিউটাউন, নারায়ণপুর, মহিষবাথানের মতো এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধাননগরে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাচ্ছেন বিরোধীরা। হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনের সময়ে বিধাননগরে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন প্রকাশ্যেই হকি স্টিক নিয়ে লাফালাফি, বাঁশ হাতে তাণ্ডব, আবাসনে ঢুকে উন্মত্ত দাপাদাপি, হামলা, আবাসিক ভোটারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাত বছর আগের সেই সন্ত্রাসের কথা আদালতেও উল্লেখ করেছে বিজেপি।
এরই মধ্যে ফের বিধাননগর সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই দুষ্কৃতীর গ্রেফতারে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। আদৌ কি শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বিধাননগরে? কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা