কলকাতা: বিধাননগর পুরভোটে কি আদৌ থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? শুক্রবার কমিশন আদালতকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারল না। মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠকের তথ্য জানতে আরও সময় লাগবে বলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চকে জানাল নির্বাচন কমিশন। এদিনের শুনানির শুরুতে মামলাকারীর আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে বলেন, কমিশন কি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে? এবিষয়ে তাঁরা কিন্তু এখনও অন্ধকারে রয়েছেন। বৈঠকের তথ্য আদালতকে জানানোর আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এরপর বিষয়টি অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান। তিনি তখন আদালতকে জানান, কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বৈঠক ১২ ঘণ্টার মধ্যে করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট ১২ ঘণ্টাতেই জমা দিতে হবে, এমনটা কোথাও বলা হয়নি। এবিষয়ে তাঁর জানা নেই কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এরপর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সোনাল সিনহা জানান, মিটিং হয়েছে। বৈঠকের সারমর্ম জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি ফের স্মরণ করিয়ে দেন, যদি বিধাননগর ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, আর সেক্ষেত্রে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে দায় কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে নিতে হবে। এবিষয়ে তাঁরা যেন ভেবে সিদ্ধান্ত নেন। কমিশনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, ‘বি কেয়ারফুল। চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক।’
প্রসঙ্গত, বিধাননগর নির্বাচনে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা। বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিন্তাভাবনা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবিষয়ে কমিশনকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালত পরিষ্কার ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি বিধাননগরের সিপির সঙ্গে কথা বলবেন। বিধাননগরের বর্তমান পরিস্থিতি কী রকম রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। সেই মোতাবেক বিকালেই বৈঠকে বসে কমিশন। কিন্তু এখনই সেই বৈঠকের সারবক্তা আদালতে প্রকাশ করেনি কমিশন। বৈঠকের তথ্য পরে জানানো হবে বলে কমিশন এদিন আদালতকে জানায়।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেছিলেন, বৈঠকের পর যদি আধিকারিকরা মনে করেন, বিধাননগরে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে। কেন্দ্রও এই মামলায় এক পক্ষ ছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসেটর জেনারেল জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে আপত্তি নেই। সেক্ষেত্রে কমিশনকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় কিনা।
আর তা যদি না হয়, কেবল যদি বিধাননগর ভোটে রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখে কমিশন, তাহলে তার দায় কমিশনেরই। অর্থাৎ ভোটের দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, তার দায় বর্তাবে কমিশনের ঘাড়েই। আর সেক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হবে কমিশনারকে। শুক্রবারও কমিশনকে সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। সঙ্গে প্রধান বিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য, ‘বি কেয়ারফুল, ভেবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিন।’
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেহেতু আদালতে কিছু জানায়নি এখনও, সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে হয়তো রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছে কমিশন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: বিধাননগর পুরভোটে কি আদৌ থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? শুক্রবার কমিশন আদালতকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারল না। মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠকের তথ্য জানতে আরও সময় লাগবে বলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চকে জানাল নির্বাচন কমিশন। এদিনের শুনানির শুরুতে মামলাকারীর আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে বলেন, কমিশন কি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছে? এবিষয়ে তাঁরা কিন্তু এখনও অন্ধকারে রয়েছেন। বৈঠকের তথ্য আদালতকে জানানোর আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এরপর বিষয়টি অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান। তিনি তখন আদালতকে জানান, কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বৈঠক ১২ ঘণ্টার মধ্যে করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট ১২ ঘণ্টাতেই জমা দিতে হবে, এমনটা কোথাও বলা হয়নি। এবিষয়ে তাঁর জানা নেই কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এরপর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সোনাল সিনহা জানান, মিটিং হয়েছে। বৈঠকের সারমর্ম জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি ফের স্মরণ করিয়ে দেন, যদি বিধাননগর ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, আর সেক্ষেত্রে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে দায় কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে নিতে হবে। এবিষয়ে তাঁরা যেন ভেবে সিদ্ধান্ত নেন। কমিশনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, ‘বি কেয়ারফুল। চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক।’
প্রসঙ্গত, বিধাননগর নির্বাচনে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা। বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিন্তাভাবনা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবিষয়ে কমিশনকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালত পরিষ্কার ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি বিধাননগরের সিপির সঙ্গে কথা বলবেন। বিধাননগরের বর্তমান পরিস্থিতি কী রকম রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। সেই মোতাবেক বিকালেই বৈঠকে বসে কমিশন। কিন্তু এখনই সেই বৈঠকের সারবক্তা আদালতে প্রকাশ করেনি কমিশন। বৈঠকের তথ্য পরে জানানো হবে বলে কমিশন এদিন আদালতকে জানায়।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেছিলেন, বৈঠকের পর যদি আধিকারিকরা মনে করেন, বিধাননগরে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে। কেন্দ্রও এই মামলায় এক পক্ষ ছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসেটর জেনারেল জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে আপত্তি নেই। সেক্ষেত্রে কমিশনকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় কিনা।
আর তা যদি না হয়, কেবল যদি বিধাননগর ভোটে রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখে কমিশন, তাহলে তার দায় কমিশনেরই। অর্থাৎ ভোটের দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, তার দায় বর্তাবে কমিশনের ঘাড়েই। আর সেক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হবে কমিশনারকে। শুক্রবারও কমিশনকে সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। সঙ্গে প্রধান বিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য, ‘বি কেয়ারফুল, ভেবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিন।’
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেহেতু আদালতে কিছু জানায়নি এখনও, সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে হয়তো রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছে কমিশন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা