কলকাতা: চার পুরনিগমের ভোট ঘোষণা হতেই হাওড়ার ভোট নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে। হাওড়ার পুরভোট নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে ইমেল করা হল। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। কেন ২২ জানুয়ারির পুরভোটে হাওড়া বাদ, সে প্রশ্ন তুলেই এই ইমেল করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এমনও শোনা যাচ্ছে, সোমবার রাতেই জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন করেছেন মামলাকারী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
এই মুহূর্তে কোর্টে ভ্যাকেশন চলছে। এরপরও আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে একটি ইমেল পাঠান। তাঁর আর্জি, এর আগে যখন শুনানি হয়েছিল সেই সময় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক সুরেই জানিয়েছিল পাঁচটি পুরনিগমে ভোট হবে। ২২ জানুয়ারি সেই ভোটগ্রহণ হবে।
আইনজীবীর বক্তব্য, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল, তখন হাওড়াকে বাদ রেখে দিন ঘোষণা করা হল। আইনজীবীর প্রশ্ন, কেন আদালতের কাছে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করা হল। তার ভিত্তিতেই জরুরি শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে।
তবে যেহেতু আদালতে ছুটি চলছে তাই ইমেলের জবাব না আসা পর্যন্ত এখনই স্পষ্ট নয়, রাতেই শুনানি হবে কি না। যদিও আইনজীবীর দাবি, সোমবার রাতেই শুনানির জন্য আর্জি জানাচ্ছেন তিনি। যদি তা না হয় তা হলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পরবর্তী ভ্যাকেশন বেঞ্চ রয়েছে, সেই মামলা শোনা হতে পারে প্রধান বিচারপতির ঘরে।
আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর —এই চার পুরনিগমে ভোট হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে।
১ নভেম্বর ২০২১ সালের (১.১১.২১) ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ভোট হবে ইভিএমে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জানুয়ারি ২০২২। স্ক্রুটিনি ৪ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ৬ জানুয়ারি। কোথাও পুনর্নির্বাচন হলে তা হবে ২৪ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটপর্ব সমাপ্ত হবে।
হাওড়ার ভোট ঝুলে থাকা নিয়ে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের প্রতিক্রিয়া, “আগে রাজ্যই বলেছিল পাঁচ পুরনিগমে ভোট হবে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওড়া নিয়ে রাজ্য সরকার কিছু জানায়নি। তাই হাওড়া নিয়ে এখনই বলতে পারছি না। যদি কাল এসে যায়, কাল আবার ধরব।”
এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “ওরা বলছে রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন। কেন শেষ মুহূর্তে ১৬টি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে?” অন্যদিকে সিপিএম নেতা রবীন দেবের কথায়, “এর আগে ২২ নভেম্বর মিটিং ডেকেছিল। তখন হাওড়া কলকাতা দু’টো নিয়ে বৈঠক হয়। সেখান থেকে হাওড়াকে বাদ দিয়েছে। আজও একই জিনিস। এখানকার কমিশনার তো একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি কোনও কথা শুনতেই চান না।”