নয়া দিল্লি: যতদিন যাচ্ছে ততই দুর্বল হচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। একের পর এক রাজ্য কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় অব্যাহত তার সঙ্গে প্রবীণ নেতাদের বিদ্রোহী মনোভাব নিয়েও কংগ্রেসকে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। শুধু মাত্র বিজেপি নয়, তৃণমূলের মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলিও কংগ্রেসের শক্তিকে ক্রমশ দুর্বল করার লক্ষ্যে নিয়েছে। সম্প্রতি মেঘালয়ে ১২ কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ, সেই সম্ভবনাকে আরও জোরালো করেছে। এই আবহে হারনো জমি পুনরুদ্ধারে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত ইস্যুকে নিয়েই আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজধানীতে মূল্যবৃ্দ্ধিকে হাতিয়ার করে বিশাল বড় সভার আয়োজন করতে চলেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব সেদিনের সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং তাঁরা জনগণের উদ্দেশে নিজেদের বক্তব্যও পেশ করবেন। কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের পাশাপাশি সমগ্র দেশে থেকে প্রথমসারির কংগ্রেস নেতারাও এদিনের সভায় অংশগ্রহন করবেন। এক বিবৃতিতে শতাব্দী প্রাচীন এই দলটি জানিয়েছে, মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সংসদের ভেতরে ও বাইরে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, “পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃ্দ্ধির প্রভাবে প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। ভোজ্য তেল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়। এই মূল্যবৃ্দ্ধির ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। প্রত্যেক মধ্যবিত্ত বাড়িতে এই মূল্যবৃ্দ্ধির প্রভাব পড়েছে। এই ইস্যুই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথমবারে জন্য টম্যাটোর দাম, পেট্রোল ডিজের মূল্যকেও অতিক্রম করে গিয়েছে। সিমেন্ট, লোহা, স্টিলের মত নির্মাণ সামগ্রীর দামও আকাশছোঁয়া। এদের দাম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃ্দ্ধি পেয়েছে। ধীরে সব কিছুই সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে উদাসীন। তাদের দুর্ভোগ বা যন্ত্রণা নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই কংগ্রেসের এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেরিতে হলেও কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে আন্দোলন ছাড়া সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়া কঠিন। তারমধ্যে বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, দলের শীর্ষনেতৃত্ব আন্দোলনে নামলে দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবলও চাঙ্গা হবে।
আরও পড়ুন Naxal commander Encounter: মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা! সুকমায় এনকাউন্টারে খতম নকশাল কম্যান্ডার