শিলিগুড়ি: এই প্রথমবার পুরভোটের টিকিট পেয়েছেন তিনি। তাই বাড়তি চাপ ও উত্তেজনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া নতুন প্রার্থী অন্যদের চেয়ে ভোট প্রচারে বেশি ব্যস্ত থাকেন, সেটাই সবাই দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এই চেনা ছবির বাইরে অঞ্জনা দে। শিলিগুড়ি পুরভোটে (Siliguri Municipality) তাঁকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। আর অঞ্জনা দেবী ভোট প্রচার প্রায় শিকেয় তুলে এখন বাড়ি বাড়ি ছুটছেন। কারণ, এলাকা জীবানুমুক্ত করতে হবে। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি স্যানিটাইজ করছেন নিজে দাঁড়িয়ে। এটাও কি প্রচার পাওয়ার কৌশল?
ছুটির দিন রবিবার। ভোট প্রচারে আরও জোর দিয়েছেন প্রার্থীরা। ছুটির দিনে জনসংযোগ ভাল হয়। মানুষের সঙ্গে একটু কথা বলা যায়। কিন্তু এই ছকের বাইরে অঞ্জনা। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডান-বাম প্রার্থীরা যখন প্রচারে ব্যস্ত তখন সুভাষপল্লীতে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। সেখানে রেড ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন এই সিপিএম প্রার্থী। স্যানিটাইজ় করছেন এলাকা।
অঞ্জনা দেবী জানান, “ওয়ার্ডে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। তাই প্রচার বড় নয়। বাড়ি বাড়ি ছুটছি। দল প্রথমবার আমায় প্রার্থী করেছে। অন্য সময়ে প্রচার করছি। কিন্তু প্রায়োরিটি এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। তাছাড়া সকলকে বলছি, মুখে মাস্ক পরুন। আমি নিজেও সবসময় মাস্ক পরে ঘুরছি। বড় সভা, মিছিল করছি না। দু’ একজনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করছি”।
কিন্তু এখন তো প্রচারে জোর দেওয়ার সময়। এটা কি প্রচার পাওয়ারই কৌশল? অঞ্জনা দেবীর জবাব, “আমরা বিগত করোনা কাল থেকেই করছি এসব। আমরা রেড ভলান্টিয়াররা পরিষেবা দিচ্ছি। এগুলো না করলে তো মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে পারবে না! তাই এগুলো করতেই হবে। ওঁনাদের জন্য় আমাদের থাকতেই হবে”। আবার বিরোধী প্রার্থীদের অঞ্জনা দেবী কটাক্ষ হেনে বলেন, “ওঁনারা মানুষের পাশে থাকেন কিনা বলতে পারব না। তবে মানুষের পাশে সবসময় থাকি। তাই ভোটেও জিতব আশা করছি”।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের দাপটের মধ্যেও গত পুরভোটে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরসভায় ধরে রাখতে পেরেছিল বামেরা। তবে একুশের বিধানসভা ভোটে আবার বিজেপি জয় পেয়েছে। সদ্য কলকাতা পুরভোটে তারা দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। যা বাড়তি উদ্যম দিচ্ছে সিপিএমকে। এদিকে শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে রাখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে বিশেষ আগ্রহী ছিল সিপিএম। আপাতত তা বিশবাঁও জলে।