ECI: ভোটের আগে ‘ড্রাই স্টেট’ গুজরাটে বাজেয়াপ্ত ১ লক্ষ লিটারের বেশি মদ, হিমাচলে ৫ গুণ বাড়ল খয়রাতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 11, 2022 | 6:49 PM

Record seizure in Himachal Pradesh and Gujarat: রাত পোহালেই শনিবারই (১২ নভেম্বর), হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। ১ ও ৫ ডিসেম্বর ভোট গুজরাটে। এই দুই ভোটমুখী রাজ্য থেকে রেকর্ড পরিমাণ নগদ অর্থ, মদ, মাদক এবং মূল্যবান ধাতব পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।

ECI: ভোটের আগে ড্রাই স্টেট গুজরাটে বাজেয়াপ্ত ১ লক্ষ লিটারের বেশি মদ, হিমাচলে ৫ গুণ বাড়ল খয়রাতি
নয়া দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই শনিবারই (১২ নভেম্বর), হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। ১ ও ৫ ডিসেম্বর ভোট গুজরাটে। এই দুই ভোটমুখী রাজ্য থেকে রেকর্ড পরিমাণ নগদ অর্থ, মদ, মাদক এবং মূল্যবান ধাতব পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার কমিশন জানিয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় হিমাচল প্রদেশে এইবার ভোটের আগে, খয়রাতি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি! অন্যদিকে, হিমাচলের ভোট ঘোষণার প্রায় ২ সপ্তাহ পর গুজরাটের ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমী রাজ্যের খয়রাতি বাজেয়াপ্তকরণের পরিমাণ গত বারের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, গুজরাটে মাত্র কয়েকদিনেই যেভাবে বিপুল পরিমাণ খয়রাতি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা অত্যন্ত ‘উৎসাহব্যঞ্জক’। নির্বাচন কমিশন বলেছে, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে গুজরাটে ৭১.৮৮ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর থেকে মোট ২৭.২১ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এইবার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পদের মধ্যে মুন্দ্রা বন্দরে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৬৪ কোটি টাকার খেলনা রয়েছে। কমিশন এগুলিকেও খয়রাতি সামগ্রী বলেই দাবি করেছে। এছাড়া ৬৬ লক্ষ টাকার নগদ, ১ লক্ষ লিটারের বেশি মদ (মূল্য ৩.৮৬ কোটি টাকা), ৯৪ লক্ষ টাকার মাদক এবং ১.৮৬ কোটি টাকার মূল্যবান ধাতব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুজরাটের ভোট হতে এখনও দুই সপ্তাহের বেশি সময় রয়েছে। কাজেই এই বছর গুজরাটে আরও অনেত বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

একইভাবে এইবার হিমাচল প্রদেশ থেকে মোট ৫০.২৮ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯.০৩ কোটি টাকার। হিমাচলে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫০.২৮ কোটি টাকার সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ১৭.২ কোটি টাকার নগদ, ৯ লক্ষ ৭২ হাজার লিটার মদ (মূল্য ১৭,৪ কোটি টাকা), ১.২ কোটি টাকার মাদক, ১৩.৯৯ কোটি টাকার মূল্যবান ধাতব সামগ্রী এবং ৪০ লক্ষ টাকার অন্যান্য খয়রাতি সামগ্রী।

নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের বিস্তৃত পরিকল্পনা, পর্যালোচনা এবং ফলো-আপের কারণেই দুই দুই ভোটমুখী রাজ্য থেকে এই রেকর্ড পরিমাণ খয়রাতি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে। নগদ, মদ, মাদক বা অন্য কোনও খয়রাতি সামগ্রী ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা কমানোর জন্য এবার অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করেছিল তারা। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই মাস খানেক আগে থেকেই নজরদারি শুরু করা হয়েছিল। একই সঙ্গে নাগরিকরা যাতে এই ধরনের বেআইনি কাজের রিপোর্ট করতে চান, তার জন্য সিভিজিল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের যে কোনও অভিযোগ ছবি ও ভিডিয়ো-সহ এই অ্যাপের মাধ্যমে কমিশনকে জানাতে পারেন নাগরিকরা।

Next Article