কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার এবং বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার যা ছিল, তার থেকেও বেশি ভোট এবার কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে পেয়েছে বামফ্রন্ট। দুপুর একটা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, তৃণমূল ভোট পয়েছে ৭২.২ শতাংশ। বামেরা পেয়েছে ১১.৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভোট শতাংশের হিসেবে বামেরাই কলকাতার পুরভোট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি পেয়েছে ৮.৯৫ শতাংশ ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ৪.৪৭ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ৬৫ টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৫ টি আসনে এবং বি়জেপি এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৪ নম্বর বরোর সাতটি ওয়ার্ডে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বিধানসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বামেদের ভোট শতাংশের নিরীখে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পারায়, আমজনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা রবীন দেব। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা সবাই পরিকল্পনা করেই এই নির্বাচনে ভোট লুঠ করেছে। এত বাধার পরেও যে মানুষরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে ভোট গণনার দিনেও শাসক শিবির গণ্ডগোল করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী নমিতা রায় জিতেছে। সেটা জানা সত্ত্বেও এখন তার ওখান থেকে কাউন্টিং শিট আনতে দিচ্ছে না। এভাবে যদি গণনাতেও গণ্ডগোল করে… ভোটদানে বাধা দিয়েছে, পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। যে কোনও অবস্থায়, সব আসনে তৃণমূলকে জিততে হবে এই যদি মনোভাব থাকে, সেই মনোভাবের প্রতিফলনই এই রেজাল্ট।”
উল্লেখ্য, বামেদের এবারের কলকাতা পুর নির্বাচনে ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থান থাকলেও, আসন সংখ্যা অনেকটা কমেছে। ২০১৫ সালের কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল ১৫। সেখান থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে বামেদের আসন।
তবে বিধানসভায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাম-কংগ্রেসের এই পুরভোটে আসন পাওয়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েনি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সিপিএম জোট করেনি বলেই দুটো করে আসন পেয়েছে। জোট করলে এটাও পেত না।”