কলকাতা: বাইরে থেকে লোক এনে নকল অধার কার্ড দিয়ে কলকাতায় রাখা হচ্ছে। শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই বক্তব্যে বিজেপি নেতার নিশানায় আরও একবার উঠে এল তৃণমূল কংগ্রেসের নাম।
শুক্রবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সামনেই পুরসভার ভোট। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে তাদের নকল আধার কার্ড দিয়ে লালিত-পালিত করে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা কর্পোরেশন কে এই তথাকথিত তালিবানদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।”
সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটের জন্য ২০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার। একই সঙ্গে পুরভোটের প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে রাজ্য নেতৃত্বও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো প্রচার করবেনই। এ ছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের কো- অবজারভার অমিত মালব্যর।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ১১৫ নম্বর, ১১৬ নম্বর, ১১৭ নম্বর, ১১৮ নম্বর, ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। সকলকে ভোটদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এর আগেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “ভবানীপুরে দেখেছি কত মানুষ ভোট দিতে গেলেন না। কারণ, তাদের কলকাতা পুলিশের কিছু অফিসার ও গুন্ডা বলে এসেছেন যে, আপনি না গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।” একই সঙ্গে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়েও এদিনও নিজেদের অনড় অবস্থানই প্রকাশ করলেন এই বিজেপি নেতা।
আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনীহা জানিয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন একটা রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি খুশি নন। আমরা তাই অপেক্ষা করছি। পাশাপাশি আইনি লড়াইও চলছে। ভিভিপ্যাট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট অবাধ হতে পারে না।’
এর আগেও একাধিক ভোটে বাইরে থেকে লোক এনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সাধারণ মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কলকাতার পুরভোটে যাতে দলের ভাবমূর্তি কোনওভাবেই ক্ষুন্ন না হয় সে কারণে ইতিমধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, ভোট দানে বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের অন্দরে নাকি বার্তা দিয়ে রেখেছেন, ভোটে ওয়ার্ডের বাইরের লোকের উপস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না। কলকাতার আশেপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরা এসে প্রচার করতে পারেন। তবে প্রচারের কাজ যেন শুধু বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, সেই বার্তাই দিয়েছেন তিনি। প্রচারে বক্তৃতা ছাড়া ওই নেতাদের আর কোনও ভূমিকা যেন না থাকে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘নেপালে যেতে অনুমতির প্রয়োজনই নেই’, মমতার দাবি ওড়াল কেন্দ্র