সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল 2024
তিনি সাংসদ। আবার বাংলায় বিজেপির সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তিনি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে ২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে বাংলার বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। বঙ্গ বিজেপির দশম রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারকে বেছে নেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের পর রাজ্য সভাপতি পদ পান তিনি।
বছর পঁয়তাল্লিশের সুকান্ত মজুমদার শুধুমাত্র একজন রাজীতিক নন, তিনি পেশায় অধ্যাপক। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বটানির অধ্যাপক তিনি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় পিএইচডি করেছেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা রয়েছে তাঁর। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে তাঁর গবেষণাপত্র। সুকান্তর গবেষণার মূল বিষয় ছিল, অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব পদ্ধতিতে চাষ-আবাদ।
সুকান্ত মজুমদারের বাবা সুশান্ত মজুমদার ছিলেন একজন সরকারি কর্মী, মা নিবেদিতা মজুমদার ছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। অল্প বয়স থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে সংযোগ ছিল সুকান্ত মজুমদারের। সংঘ নেতৃত্বের নজরে পড়ে যাওয়ার পর ‘শাখা কার্যবহ’ ও ‘জেলা সম্পর্ক প্রমুখ’-এর দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তীতে রাজনীতির সঙ্গেই যোগ বাড়তে থাকে ক্রমশ। ক্রমে বিজেপির একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে ৩৩ হাজার ২৯৩ ভোটে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ হন সুকান্ত। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বালুরঘাট আসন থেকেই তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
একটি আবেদনপত্রের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল যেখানে দেখা যায়, আবেদনকারীর নাম সুকান্ত মজুমদার। সেটি ছিল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন WEBCUPA (ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস অ্যাসোসিয়েশন)-র সদস্যপদ গ্রহণের আবেদনপত্র। এই নিয়ে বিতর্কও হয়। তবে পরে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন না বুঝেই তিনি ওই সংগঠনের সদস্য হয়ে গিয়েছিলেন।