Exit Poll: লোকসভার ধাক্কা থেকে বদলাচ্ছে সুর? এক্সিট পোলের বাজারে ঘোর মন্দা?
Exit Poll: লোকসভা ভোট, এমনকি কয়েক মাসে আগে দু- রাজ্যে ভোটের সময় পোল এজেন্সিগুলি বুক ফুলিয়ে অনেক দাবি করেছিল। ভোটে ফলাফলে সেসব ধসে যাওয়াতেই কী তাঁদের সুর বদলে গেল? চলছে চাপানউতোর।
মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে ভোট শেষ। আর ভোট শেষ মানেই এক্সিট পোল। কিন্তু, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ভোট বলে দিল, এক্সিট পোলের দিন বোধহয় শেষ হয়ে আসছে। কেন এ কথা হচ্ছে? দেশের বেশিরভাগ নামী পোল এজেন্সি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এক্সিট পোল করে। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয়নি। দেশের ৫টি বড় পোল এজেন্সির মধ্যে ৪টিই নিজেরা এক্সিট পোল করেছে এবং সেটা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বা করবে। বেশ কয়েকটি এজেন্সি এক্সিট পোলই করেনি। আর যাঁরা করেছে, তাঁদের বক্তব্য, আমরা ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের পূর্বাভাস যে মিলবেই তার গ্যারান্টি দিতে পারছি না। মিলতেও পারে। আবার নাও মিলতে পারে।
লোকসভা ভোট, এমনকি কয়েক মাসে আগে দু- রাজ্যে ভোটের সময় পোল এজেন্সিগুলি বুক ফুলিয়ে অনেক দাবি করেছিল। ভোটে ফলাফলে সেসব ধসে যাওয়াতেই কী তাঁদের সুর বদলে গেল? দেশের প্রথম সারির মার্কেট সার্ভে সংস্থার এক কর্তা আক্ষেপ করে বললেন, এ হল এক্সিট পোলের বাজারে ডিপ রিসেশন। ঘোর মন্দা। যেখানে শুধু এক্সিট পোল ঘিরেই রমরমা ব্যবসা হওয়ার কথা, এখন সেখানে শুধুই হতাশা। তিনি বললেন, দেখুন মহারাষ্ট্রে যা রাজনৈতিক সমীকরণ, তাতে এরাজ্যের এক্সিট পোল হটকেক হতে পারত। এত জটিল আর প্যাঁচালো ভোট তো দেশের ইতিহাসে খুব একটা হয়নি। অথচ সেই মহারাষ্ট্রেই এক্সিট পোল নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
দেশের প্রথমসারির এক পোল এজেন্সির প্রধানের বক্তব্য, আমরা গত দু-বারে ফেল করেছি। হ্যাঁ, ফেল করেছি। কিন্তু তার আগে পরপর বেশ কয়েকবার লেটার মার্কস নিয়ে পাশও তো করেছি। সেসব এখন কারও মনে নেই। শুধু লোকসভা আর হরিয়ানার বিধানসভার নিয়েই লোকজন আমাদের টার্গেট করছে। এক্সিট পোলের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, এমন একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরোতে হবে। কিন্তু কীভাবে, সেটা এখনও জানি না। এদিকে মহারাষ্ট্রে কাঁটায়- কাঁটায় লড়াই। সামান্য ওদিক – ওদিক হলেই খেলা উল্টে -পাল্টে যাবে। একটি এক্সিট পোলে ইঙ্গিত, ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসে!