হায়দরাবাদ: ২০০৪ সাল থেকে রায়বেরিলি আসন থেকে জিতে লোকসভার সদস্য হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। আর, বর্তমানে বারাণসীর সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দলের দুই বড় নেতাই লোকসভার সদস্য হয়েছেন উত্তর প্রদেশ থেকে। কিন্তু, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কি দুই নেতাই পাড়ি দেবেন তেলঙ্গানায়? দক্ষিণের এই রাজ্য থেকেই প্রার্থী হবেন সনিয়া-মোদী? গত ১০ বছর ধরে তেলঙ্গানায় শুধুই কেসিআর-এর গোলাপ ফুটেছে। কিন্তু, এবার সেই প্রবণতায় বদল ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছে বিআরএস। রাজ্যের ক্ষমতা হারানোর পর, এবার বিআরএস-কে পুরোপুরি রাজ্য রাজনীতির সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দুই জাতীয় দল – বিজেপি এবং কংগ্রেস। সূত্রের খবর, রাজ্যের কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীরা চাইছেন, তেলঙ্গানা থেকেই আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন সনিয়া এবং মোদী।
শাশুড়ির আসনে সনিয়া?
সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এই জয়কে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে আগ্রহী কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁরা মনে করছেন, সনিয়া গান্ধীর মতো বড় নেত্রী রাজ্য থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা আরও বেশি উৎসাহের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে দলকে জেতাতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। প্রাথমিকভাবে সনিয়া গান্ধীকে মেদাক আসন থেকে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে ভাবা হয়েছে মালকাজগিরি এবং করিমনগর আসনের কথা। সূত্রের খবর, প্রথমে ভাবা হয়েছিল তেলঙ্গানা থেকে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। কিন্তু, পরে সর্বসম্মত ভাবে তলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সনিয়া গান্ধীর নাম বেছে নেয়। প্রসঙ্গত মেদাক আসন থেকে ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
তেলঙ্গানায় বিআরএস-এর জায়গা নেবে বিজেপি?
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে বিআরএস হেরে যাওয়ায় পর রাজ্যের বিজেপি নেতারা মনে করছেন এবার কেসিআরএ-র দলের শুধুই রক্তক্ষয় হবে। আর সেই সুযোগে রাজ্যে বিজেপির শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া য়েতে পারে। তার জন্য দলের ক্যাডারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আর এই কাজের জন্য গেরুয়া শিবিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কে উপযুক্ত হতে পারেন? এই কারণেই, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই রাজ্য থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে। ২০১৯ সালে এই দক্ষিণী রাজ্য থেকে চারটি আসন জিতেছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদী থাকলে, এই সংখ্যা অনেকটা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কোন আসন থেকে লড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী? রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনায় রয়েছে, সেকেন্দরাবাদ, মালকাজগিরি এবং মাহবুবনগর। তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে শেষ কথা বলবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিই।