কলকাতা: শৃঙ্খলার হুঁশিয়ারিকে থোরাই কেয়ার। প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই মদন বাণে অগ্নিবর্ষণ। শীর্ষে আরও জোরাল ফাটল। রাখঢাক না করে এবার সরাসরি তোপ দাগলেন মদন মিত্র। বললেন, ” সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলকে বিপুল মার্জিনে জয়ী করিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছেন সাংসদ সৌগত রায়।” প্রার্থী তালিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষের আঁচ কামারহাটিতে অর্থাৎ মদন মিত্রের এলাকাতেই। প্রার্থী অসন্তোষের কারণ নিয়ে দলেরই সাংসদের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ” আমি যতদিন কামারহাটির বিধায়ক থাকব, ততদিন আমি তাঁদের পাশে থাকব।”
প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকা সংক্রান্ত অসন্তোষ নিয়ে মঙ্গলবারই কামারহাটির একটি কর্মিসভায় মুখ খুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বোমা ফাটিয়েছেন ফেসবুক লাইভে এসেও। মদন মিত্র প্রকাশ্যে বলেছেন, “‘যে নেতা কাজু–বাদাম, বিরিয়ানি খেয়ে লুঙ্গি তুলে মালিশ করে প্রার্থীর নাম দিয়েছেন সেই নেতার যদি সাহস থাকে তাহলে কামারহাটি কাছে বিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করে দেখান। কামারহাটির মানুষ তাঁকে বুঝে নেবে। যে নেতা বলেছিলেন ‘মমতার বাবার ঠিক নেই’, সেই নেতাই আজকে বড় পদ পেয়েছেন দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব আপনি নিজে হস্তক্ষেপ করুন।”
সরস্বতী পুজোর রাত থেকে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কামারহাটি পৌরসভা এলাকায়, তা এখনও অব্যাহত। বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কামারহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আশিয়া পারভিনকে দলের তরফ থেকে প্রার্থী না করায়, মঙ্গলবারই ওই অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কামারহাটি বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন আশিয়া পারভিন। বলেন, “৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালে জিতেছিলাম। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমি কাউন্সিলর ছিলাম। এরপর দুবার কো অর্ডিনেটর ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল, আপনারা এমপি জেতান, এমএলএ-দের জেতান। যাঁদের ওয়ার্ডে কম ভোট হবে, তাঁরা টিকিট পাবেন না। যাঁরা জয়ী করবেন, তাঁরা টিকিট পাবেন। সবাইকে নিয়ে রমজান মাসে আমরা লড়াই করেছিলাম। এমপি, এমএলএ সাহেবকে আমাদের ওয়ার্ড লিড দিয়েছিলাম। আমি তোমাদের ছাড়া আর কারোর নামই প্রার্থী তালিকায় নাম রাখব না। আমি বিধায়কের কাছে গিয়েছিলাম। বিধায়ক সত্যিই ভালো মানুষ। ফাইনাল লিস্টে বেরনোর পর দেখলাম আমার নাম নেই। আমি ফের বিধায়ককে বলি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।”
বিক্ষুব্ধদের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন মদন মিত্র। তিনি সরাসরি বললেন, “সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলকে বিপুল মার্জিনে জয়ী করিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছেন সাংসদ সৌগত রায়।”
প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঘূর্ণিপাকের মধ্যে থতমত তৃণমূলের দ্বিতীয় সারির নেতারা। চোরা স্রোতের ঢেউ বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। বিক্ষুব্দ নেতাদের উদ্দেশে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে দল। ফিরহাদ বলেন, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন. তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?” এরইমধ্যে বিক্ষুদ্ধদের ‘লড়াইকে’ সমর্থন করে সাংসদের বিরুদ্ধে যা বললেন মদন, তাতে চোরাস্রোত কতদূর বইবে, সেটাই বিচার্য।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: শৃঙ্খলার হুঁশিয়ারিকে থোরাই কেয়ার। প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই মদন বাণে অগ্নিবর্ষণ। শীর্ষে আরও জোরাল ফাটল। রাখঢাক না করে এবার সরাসরি তোপ দাগলেন মদন মিত্র। বললেন, ” সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলকে বিপুল মার্জিনে জয়ী করিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছেন সাংসদ সৌগত রায়।” প্রার্থী তালিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষের আঁচ কামারহাটিতে অর্থাৎ মদন মিত্রের এলাকাতেই। প্রার্থী অসন্তোষের কারণ নিয়ে দলেরই সাংসদের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ” আমি যতদিন কামারহাটির বিধায়ক থাকব, ততদিন আমি তাঁদের পাশে থাকব।”
প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকা সংক্রান্ত অসন্তোষ নিয়ে মঙ্গলবারই কামারহাটির একটি কর্মিসভায় মুখ খুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বোমা ফাটিয়েছেন ফেসবুক লাইভে এসেও। মদন মিত্র প্রকাশ্যে বলেছেন, “‘যে নেতা কাজু–বাদাম, বিরিয়ানি খেয়ে লুঙ্গি তুলে মালিশ করে প্রার্থীর নাম দিয়েছেন সেই নেতার যদি সাহস থাকে তাহলে কামারহাটি কাছে বিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করে দেখান। কামারহাটির মানুষ তাঁকে বুঝে নেবে। যে নেতা বলেছিলেন ‘মমতার বাবার ঠিক নেই’, সেই নেতাই আজকে বড় পদ পেয়েছেন দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব আপনি নিজে হস্তক্ষেপ করুন।”
সরস্বতী পুজোর রাত থেকে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কামারহাটি পৌরসভা এলাকায়, তা এখনও অব্যাহত। বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কামারহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আশিয়া পারভিনকে দলের তরফ থেকে প্রার্থী না করায়, মঙ্গলবারই ওই অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কামারহাটি বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন আশিয়া পারভিন। বলেন, “৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালে জিতেছিলাম। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমি কাউন্সিলর ছিলাম। এরপর দুবার কো অর্ডিনেটর ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল, আপনারা এমপি জেতান, এমএলএ-দের জেতান। যাঁদের ওয়ার্ডে কম ভোট হবে, তাঁরা টিকিট পাবেন না। যাঁরা জয়ী করবেন, তাঁরা টিকিট পাবেন। সবাইকে নিয়ে রমজান মাসে আমরা লড়াই করেছিলাম। এমপি, এমএলএ সাহেবকে আমাদের ওয়ার্ড লিড দিয়েছিলাম। আমি তোমাদের ছাড়া আর কারোর নামই প্রার্থী তালিকায় নাম রাখব না। আমি বিধায়কের কাছে গিয়েছিলাম। বিধায়ক সত্যিই ভালো মানুষ। ফাইনাল লিস্টে বেরনোর পর দেখলাম আমার নাম নেই। আমি ফের বিধায়ককে বলি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।”
বিক্ষুব্ধদের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন মদন মিত্র। তিনি সরাসরি বললেন, “সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে নিজের নিজের ওয়ার্ডে দলকে বিপুল মার্জিনে জয়ী করিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছেন সাংসদ সৌগত রায়।”
প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঘূর্ণিপাকের মধ্যে থতমত তৃণমূলের দ্বিতীয় সারির নেতারা। চোরা স্রোতের ঢেউ বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। বিক্ষুব্দ নেতাদের উদ্দেশে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে দল। ফিরহাদ বলেন, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন. তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?” এরইমধ্যে বিক্ষুদ্ধদের ‘লড়াইকে’ সমর্থন করে সাংসদের বিরুদ্ধে যা বললেন মদন, তাতে চোরাস্রোত কতদূর বইবে, সেটাই বিচার্য।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা