ইম্ফল: ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ উত্তর প্রদেশে নির্বাচন দিয়ে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। প্রাথমিকভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ এক দফায় পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে পঞ্জাব শাসিত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিদাস জয়ন্তীর কথা মাথায় রেখে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। শেষমেশ তাদের আর্জি মেনে নিয়ে দিন বদলে ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত হয় পঞ্জাবের নির্বাচন। এবার বিজেপি শাসিত উত্তর পূর্বের মণিপুরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠল।
মঙ্গলবার অল মণিপুর খ্রিস্টান অর্গানাইজেশনের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রথম দফার ভোটের দিন ররিবারের পরিবর্তে অন্য যেকোনও দিনে করার আর্জি জানানো হয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে রবিবার দিনটিতে খ্রিস্টানরা গির্জাতে প্রার্থনা করেন। বিবৃতিতে অল মণিপুর খ্রিস্টান অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন করছি রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন করে খ্রিস্টানেদের ধর্মাচারণের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হোক।”
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশির নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ দুদফায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। অল মণিপুর খ্রিস্টান অর্গানাইজেশন জানিয়েছে যদি ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার নির্বাচন হয় তবে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, “রবিবার একটি পবিত্র দিন। ঈশ্বরের উপাসনা এবং শ্রদ্ধা করার জন্য এই দিনটি নির্ধারিত। কিন্তু রবিবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য হওয়ায় মণিপুরে খ্রিস্টান সমাজের মনে এই প্রশ্ন উঠেছে, সরকার সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই দিনটির ধর্মীয় তাৎপর্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে?” এখন এই সংগঠনের আর্জি মেনে নির্বাচন কমিশনের তরফে আদৌ ভোট গ্রহণের দিন বদলানো হয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : Aparna Yadav: রয়েছে বিদেশি ডিগ্রি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও পারদর্শী যাদব পরিবারের ‘ছোটি বহু’ অপর্ণা
আরও পড়ুন : Budget 2022: পণ্য উৎপাদনে শীর্ষে পৌঁছনো লক্ষ্য ভারতের, দেশজ উৎপাদনে জোর বাজেটে?