নয়া দিল্লি : একুশের নির্বাচনে মমতার সাফল্য কার্যত নজির তৈরি করেছে। আর সেই জয়ের পরই দিল্লি দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল (TMC)। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই সেই প্রস্তুতি। ত্রিপুরার পুর নির্বাচনের পর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখলই লক্ষ্য। শুধু আঞ্চলিক দলের জোট গঠন নয়, সেই জোটের মুখ হয়ে মোদীর মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চান মমতা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর অন্যদিকে, কংগ্রেসের (Congress) রাজনৈতিক কৌশল বলছে অন্য গল্প। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রণকৌশল বলে দিচ্ছে, রাজ্য-জয় নয়, ২০২৪-এ মমতাকে পিছনে রাখাই মূল লক্ষ্য হাত শিবিরের।
গত রবিবার মনিপুরে ৬ দলের প্রাক-নির্বাচনি জোট ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সেই জোট ঘোষণা করেছেন। সেখানে কংগ্রেস ছাড়া রয়েছে জেডিএস ও চারটি বাম দল- সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক। এই জোটের নামকরণ করা হয়েছে মনিপুর প্রোগ্রেসিভ সেক্যুলার অ্যালায়েন্স (MPSA)।
এখন প্রশ্ন হল, গোয়ায় যখন কোনও জোটে যেতে রাজি নয়, তখন মনিপুরে কেন বামেদের হাত ধরল কংগ্রেস? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ক্ষেত্রে হাত শিবিরে দু ভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, মনিপুরে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের শক্তি নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে সে রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে। মনে হতে পারে, কংগ্রেস দুর্বল বলেই বামেদের হাত ধরতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস জোট করার ফল কী হয়েছে, সেটাও সবার সামনে পরিষ্কার। খাতাই খুলতে পারেনি বাম অথবা কংগ্রেস। সুতরাং আরও একটি রাজ্যে সেই একই জোট গঠনের আগে কংগ্রেসের ভাবা উচিৎ কি না সেই প্রশ্নই উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মনিপুরের থেকেও গোয়ায় জোট করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়, তার জন্য প্রাক-নির্বাচনি জোট করাটাই কাম্য ছিল। তৃণমূল সেই জোটের প্রস্তাবও দিয়েছিল কংগ্রেসকে। কিন্তু তা কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
ওপরের দুটো অঙ্ক থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটে জেতাটা রাহুল গান্ধীদের পাখির চোখ নয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দৌড় থেকে সরানোটাই লক্ষ্য।
২০২৪- কে সামনে রেখে যখন ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মমতা, তখন একটা বিষয় মোটামুটিভাবে স্পষ্ট, মোদীর মূল প্রতিপক্ষ হতে চান তিনি। কখনও ঠাকরেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কখনও অখিলেশের প্রচারে উপস্থিত হওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আঞ্চলিক জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী মুখ হতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু সেই স্বপ্ন যাতে সফল না হয়, সেটাই সম্ভবত কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী মুখ হওয়ার দৌড় থেকে রাহুল যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেই অঙ্কই সম্ভবত কষা হচ্ছে ১০ জনপথে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : একুশের নির্বাচনে মমতার সাফল্য কার্যত নজির তৈরি করেছে। আর সেই জয়ের পরই দিল্লি দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল (TMC)। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই সেই প্রস্তুতি। ত্রিপুরার পুর নির্বাচনের পর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখলই লক্ষ্য। শুধু আঞ্চলিক দলের জোট গঠন নয়, সেই জোটের মুখ হয়ে মোদীর মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চান মমতা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর অন্যদিকে, কংগ্রেসের (Congress) রাজনৈতিক কৌশল বলছে অন্য গল্প। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রণকৌশল বলে দিচ্ছে, রাজ্য-জয় নয়, ২০২৪-এ মমতাকে পিছনে রাখাই মূল লক্ষ্য হাত শিবিরের।
গত রবিবার মনিপুরে ৬ দলের প্রাক-নির্বাচনি জোট ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সেই জোট ঘোষণা করেছেন। সেখানে কংগ্রেস ছাড়া রয়েছে জেডিএস ও চারটি বাম দল- সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক। এই জোটের নামকরণ করা হয়েছে মনিপুর প্রোগ্রেসিভ সেক্যুলার অ্যালায়েন্স (MPSA)।
এখন প্রশ্ন হল, গোয়ায় যখন কোনও জোটে যেতে রাজি নয়, তখন মনিপুরে কেন বামেদের হাত ধরল কংগ্রেস? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ক্ষেত্রে হাত শিবিরে দু ভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, মনিপুরে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের শক্তি নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে সে রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে। মনে হতে পারে, কংগ্রেস দুর্বল বলেই বামেদের হাত ধরতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস জোট করার ফল কী হয়েছে, সেটাও সবার সামনে পরিষ্কার। খাতাই খুলতে পারেনি বাম অথবা কংগ্রেস। সুতরাং আরও একটি রাজ্যে সেই একই জোট গঠনের আগে কংগ্রেসের ভাবা উচিৎ কি না সেই প্রশ্নই উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মনিপুরের থেকেও গোয়ায় জোট করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়, তার জন্য প্রাক-নির্বাচনি জোট করাটাই কাম্য ছিল। তৃণমূল সেই জোটের প্রস্তাবও দিয়েছিল কংগ্রেসকে। কিন্তু তা কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
ওপরের দুটো অঙ্ক থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটে জেতাটা রাহুল গান্ধীদের পাখির চোখ নয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দৌড় থেকে সরানোটাই লক্ষ্য।
২০২৪- কে সামনে রেখে যখন ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মমতা, তখন একটা বিষয় মোটামুটিভাবে স্পষ্ট, মোদীর মূল প্রতিপক্ষ হতে চান তিনি। কখনও ঠাকরেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কখনও অখিলেশের প্রচারে উপস্থিত হওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আঞ্চলিক জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী মুখ হতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু সেই স্বপ্ন যাতে সফল না হয়, সেটাই সম্ভবত কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী মুখ হওয়ার দৌড় থেকে রাহুল যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেই অঙ্কই সম্ভবত কষা হচ্ছে ১০ জনপথে।