AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কত শতাংশ মুসলিম ভোট দিতে পারেন বিজেপিকে? মমতার পক্ষে হিন্দুদের সমর্থন কতটা?

কোন সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট কোন দিকে যাবে তা বোঝার জন্য মাঠে নেমে এতদিন পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন আমাদের রিপোর্টাররা। সেই তথ্যই তুলে ধরা হচ্ছে TV9 বাংলার পাঠকদের সামনে।

কত শতাংশ মুসলিম ভোট দিতে পারেন বিজেপিকে? মমতার পক্ষে হিন্দুদের সমর্থন কতটা?
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
| Updated on: Mar 25, 2021 | 8:02 PM
Share

কলকাতা: কী ভাবছে বাংলা? কোন পালে বইছে বঙ্গ রাজনীতির হাওয়া? ইঙ্গিত পেতে গতকাল, অর্থাৎ ২৪ মার্চ জনমত সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল TV9 বাংলা ও পোলস্ট্র্যাট। এ বার পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে জেলা-জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের রিপোর্টারদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট। প্রত্যেকটি জেলার থেকে রিপোর্টররা যে গ্রাউন্ড রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই এই তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে ধর্মীয় মেরুকরণের খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রথমবার বেশি করে আলোচনা শুরু হয় হিন্দু ভোট এবং মুসলিম ভোট নিয়ে। এ রাজ্যে ৩০ শতাংশের আশেপাশের জনসংখ্যা মুসলিমদের হওয়ায় তাঁদের একটা বড় প্রভাব ভোট বাক্সে পড়ে। সেই নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। যা কিছুটা হলেও বাংলার হিন্দু ও মুসলিম ভোটারদের মধ্যে একটা অদৃশ্য দাগ কেটে দিয়েছে। সেই দাগ ক্রমশই দৃশ্যমান হচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে।

আসছে বিধানসভা নির্বাচনেও হিন্দু ও মুসলিম, এই দুই সম্প্রদায়ের ভোটই মূলত ঠিক করবে যে নবান্ন দখল করবে কে। আপাত দৃষ্টিতে বিচার করলে হিন্দুদের একটা বড় অংশ বিজেপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, মুসলিমদের প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এতদিন সমর্থন করে এসেছিলেন তৃণমূলকেই। তবে এ বার সেই সমীকরণ ঘেঁটে দিতে মাঠে নেমেছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ২০১৬-র তুলনায় ২০২১-র প্রার্থী তালিকায় ১২ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী কম রেখেছেন এ বার। ফলে কোন সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট কোন দিকে যাবে তা বোঝার জন্য মাঠে নেমে এতদিন পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন আমাদের রিপোর্টাররা। সেই তথ্যই তুলে ধরা হচ্ছে TV9 বাংলার পাঠকদের সামনে।

বিভিন্ন দলের ধর্মভিত্তিক ভোট ভাগ

বিজেপি

গ্রাউন্ড রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, বিজেপিকে যারা চান তাঁদের মধ্যে ৮৮ শতাংশই হিন্দু। মুসলিমদের মধ্যে ৯ শতাংশ মানুষ চান বিজেপিকে। সঙ্গে নাস্তিকদের এক শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষদের ২ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে চান।

তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ভোটব্যাঙ্কের ৬০ শতাংশ হিন্দু ভোটার। এমনটাই উঠে এসেছে গ্রাউন্ড রিপোর্টে। একই সঙ্গে ৩৮ শতাংশ রয়েছেন মুসলিম। নাস্তিক ও অন্যান্য ধর্মের মোট দুই শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের সমর্থনে।

বাম-কংগ্রেস

গ্রাউন্ডে রিপোর্ট অনুযায়ী, সংযুক্ত মোর্চাকে যারা চান তাদের মধ্যে ৫২ শতাংশ হিন্দু। ৪১ শতাংশ মুসলিম। ৪ শতাংশ নাস্তিক ও অন্যান্য ধর্মের ৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে মোর্চার পক্ষে।

সিদ্ধান্ত নেননি

কাকে ভোট দেবেন? এখনও সিদ্ধান্ত নেননি ৭৩ শতাংশ হিন্দু। মুসলিমদের ১৯ শতাংশ এখনও ঠিক করেননি কাকে ভোট দেবেন? ৩ শতাংশ নাস্তিক ও অন্যান্য ধর্মের ৫ শতাংশ মানুষও এখন কাকে ভোট দেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেননি।

আরও পড়ুন: ফেসবুক ময়দানে খরচায় মোদীকে টেক্কা মমতার

বিভিন্ন ধর্মের দলভিত্তিক ভোট

হিন্দু

এ বার দেখে নেওয়া যাক কোন ধর্মের মানুষ কোন দলের দিকে ঝুঁকছেন। গ্রাউন্ড রিপোর্ট অনুসারে, হিন্দুদের ৪৬ শতাংশ বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ৩০ শতাংশ হিন্দু রয়েছেন তৃণমূলের পক্ষে। ১১ শতাংশ হিন্দুরা সংযুক্ত মোর্চাকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ১০ শতাংশ হিন্দু এখনও ঠিক করেননি কোন দলের পক্ষে ভোট করবেন। ২ শতাংশ নোটায় ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

মুসলিম

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৪ শতাংশ মানুষ রয়েছেন বিজেপির পক্ষে। ৫৩ শতাংশ মুসলিম তৃণমূলকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ২৫ শতাংশ মুসলিম রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে। অন্যদিকে, ৭ শতাংশ এখনও ঠিক করেননি কাকে ভোট দেবেন।

নাস্তিক

নাস্তিকদের মধ্যে থাকা ২২ শতাংশ মানুষ রয়েছেন বিজেপির পক্ষে। ১১ শতাংশ ঝুঁকে তৃণমূলের দিকে। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে রয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষ। ১৯ শতাংশ এখনও নিশ্চিত নন কাকে ভোট করবেন সেই নিয়ে। নাস্তিকদের মধ্যে ১৪ শতাংশ মানুষই চাইছেন নোটায় ভোট দিতে।

অন্যান্য

বাকি ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ভোট বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে। ১২ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেন তৃণমূলের সমর্থনে। ২৩ শতাংশের সমর্থন রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে। এবং ৫ শতাংশ মানুষই রয়েছেন নোটার সমর্থনে।

আরও পড়ুন: রিপোর্টারদের গ্রাউন্ড সার্ভে: কোন পেশার মানুষ ঝুঁকে কোন দিকে? দুর্নীতি কি ভোগাবে তৃণমূলকে?