Famer leader on PM security: ‘পুলিশ জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আসছেন, আমরা ভেবেছিলাম মিথ্যা বলছেন’, কৃষক নেতার মন্তব্যে প্রশ্ন
Security Breach: গতকাল সকালেই ভাটিন্ডাতে অবতরণ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।
চণ্ডীগঢ়: গতকালই পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরে ঘটে গিয়েছিল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যাত্রাপথে অবরোধে মুখোমুখি হয়ে একটি ব্রিজে ২০ মিনিট থমকে থাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ কর্মসূচি বাতিল করে আবার ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। আজ আন্দোলনকারীদের তরফে এক নতুন দাবি সামনে এল। ভারত কিষাণ ইউনিয়ন (ক্রান্তিকারী)-এর প্রধান সুরজিৎ সিং ফুল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, যখন ফিরোজ়পুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার ‘প্রধানমন্ত্রী আসছেন’ বলে তাদের আন্দোনলস্থল খালি করার কথা জানিয়েছিলেন এবং রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলেন, তখন তাঁরা ভেবেছিলেন অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য হয়তো পুলিশ মিথ্যে বলছে। এই দাবি সামনে আসার পর থেকে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কী বললেন কৃষক সংগঠনের নেতা?
প্রধানমন্ত্রীর যাত্রপথে অবরোধের ঘটনায় বিরোধীদের দাবি ছিল পঞ্জাবের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীকে ভয় না পেয়ে রাস্তা বসে থেকে তাঁকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন। বৃহস্পতিবার কৃষক নেতার মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কী প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে অবগত ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগঠনের নেতা সুরজিৎ সিং ফুল বলেন, “ফিরোজ়পুরের এসএসপি আমাদের রাস্তা খালি করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এই রাস্তা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী যাবেন। আমরা ভেবেছিলাম তিনি হয়তো মিথ্যা কথা বলছেন।”
#WATCH | SSP Ferozepur asked us to vacate the road saying that the prime minister was going to the rally venue by road. We thought he was bluffing: BKU (Krantikari) chief Surjit Singh Phool pic.twitter.com/DvEoO94sTK
— ANI (@ANI) January 6, 2022
ঠিক কী ঘটেছিল কাল?
গতকাল সকালেই ভাটিন্ডাতে অবতরণ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ওই ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে কংগ্রেস-বিজেরি চাপান উতর
এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করা উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তির নিরাপত্তার বিঘ্নিত হওয়ায় পঞ্জাব প্রশাসন ও পুলিশকে দায়ী করেছিল বিজেপি।
জবাব দিতে আসরে নেমেছিলেন খোদ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। তিনি বলেছিলেন, “বিক্ষোভকারীরা যেখানে বসেছিলেন তার অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় থামিয়ে দেওয়া হয়। কোনও ধরনের বিক্ষোভ বা অবরোধ তুলতে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা জানানো হয়েছিল, এবং তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” এর পাশাপাশি চন্নি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে কোনও পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হবে না।