চণ্ডীগঢ়: বাড়ছে করোনা। কিন্তু এরই মধ্যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শনিবারই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রকাশ্য সভা – সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার চালাতে অনুরোধ করেছে কমিশন। এদিকে কমিশন নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই প্রতিটি দল এখন তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। পঞ্জাব কংগ্রেসের (Punjab Congress) সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) অবশ্য রবিবার বলেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের তালিকা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। প্রদেশ সভাপতি আরও বলেন, “আজও স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠক হয়েছে। আমরা সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কংগ্রেস সবসময়ই শেষে তার প্রার্থী ঘোষণা করে।”
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায়, পুরো নির্বাচনী প্রচার পর্বই অনলাইনে করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচনের জন্য যাতে কোনওভাবেই দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। করোনা-মুক্ত নির্বাচন করানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে কমিশন। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকাশ্যে জনসভা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে রোড শো বা অন্য যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক জমায়েত। কমিশনের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু বলেন, “আমি আশা করি ১৫ জানুয়ারির পরে পরিস্থিতি বদলে যাবে এবং যদি তা না হয়, তবে আমরা ডিজিটাল প্রচার করব।”
নভজ্যোত সিং সিধুর কথায়, “আমি আশা করি ১৫ জানুয়ারির পরে পরিস্থিতি বদলে যাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, আপনাকে ডিজিটাল প্রচার চালাতে হবে। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তবে আমাদের এই লিটমাস টেস্টে পাশ করতে হবে।” নভজ্যোত সিং সিধু রবিবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, তাদের দল আসন্ন নির্বাচনের জন্য খুব শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, পঞ্জাব কংগ্রেস ইতিমধ্যে তাদের বেশিরভাগ সমাবেশ করে ফেলেছে। সিধু পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, পঞ্জাবে কংগ্রেসের প্রায় ৪০ টি সমাবেশ আয়োজিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি অনেকগুলি সভা করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবারই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন শুরু হচ্ছে। পঞ্জাবে ভোট হবে এক দফাতেই। ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে পঞ্জাবে। উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতেও ভোট রয়েছে ওইদিনে। অন্যদিকে মণিপুরে দুই দফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণিপুরে ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ। ১০ মার্চ সমস্ত রাজ্যে ভোট গণনা করা হবে।