চণ্ডীগঢ়: বিধানসভা নির্বাচনের (Punjab Assembly Election 2022)মুখেই ইডির হানায় অস্বস্তিতে পড়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)। চলতি সপ্তাহেই বেআইনি বালি খাদানের মামলায় মুখ্যমন্ত্রী চন্নির একাধিক আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি(ED)-র আধিকারিকরা। এরপরই বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে চন্নি দাবি করেন, তিনি যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে না দাঁড়ান, তার জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। তবে মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইডি কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও মিথ্যা বলেই জানিয়েছেন তারা।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে যে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তদন্তকারী দলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কোনও আধিকারিকই মুখ্য়মন্ত্রীর পরিবারের কোনও সদস্যকে হুমকি দেননি।
বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বলেন, “ইডি আধিকারিকরা আমার পরিবারের সদস্যদের ক্রমাগত হুমকি দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে আমি ও বাকি কংগ্রেস নেতারা যাতে দাঁড়াতে না পারি, তারজন্য ভুয়ো মামলায় আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের বাড়িতে ও ভূপিন্দর সিংয়ের অফিসে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা ২০১৮ সালে বেআইনি বালি খাদানের মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। তিন বছরের পুরনো এই মামলায় হানি (ভূপিন্দর)-কে গ্রেফতার অবধি করা হয়নি। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় নিয়েই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।”
রাজ্য়ের সঙ্গে তুলনা টেনে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ওখানে যখন নির্বাচন ছিল, তখন বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আত্মীয়দের কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে নিশানা বানিয়েছিল। একইভাবে আমার ও কংগ্রেস নেতাদের উপর ইডির অভিযান দিয়ে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
চলতি সপ্তাহের সোমবারই ইডি পঞ্জাবের ১০টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালায়। পরে জানা যায় ২০১৮ সালের বেআইনি বালি খাদান মামলার সূত্র ধরেই ওই অভিযান চালানো হয়েছিল এবং মোট ১০ কোটি টাকা, ২১ লক্ষ টাকার সোনা ও ১২ লক্ষ টাকার একটি রেলেক্স ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির আত্মীয় ভূপিন্দর সিংয়ের মোহালির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে আগামী মাসের ২০ তারিখ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রথমে ১৪ তারিখ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও, সেই সময়ই গুরুদাস পূরব থাকায় শাসক ও বিরোধী শিবিরের সমস্ত দলই ভোট পিছনোর আবেদন জানায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। শেষে ওই আবেদন পর্যালোচনা করে নির্বাচন পিছোনোর সিদ্ধান্তেই শীলমোহর দেয় নির্বাচন কমিশন। দাবি মতোই এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় পঞ্জাবের নির্বাচন।