চণ্ডীগঢ়: আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ার সঙ্গেই হবে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। ভোট ঘোষণার আগে পঞ্জাবে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ভাগ্য পরীক্ষায় নামার আগে চণ্ডীগঢ়ের পুরভোট ছিল আম আদমি পার্টির কাছে অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। পুরভোটের ফলাফলেই আপের শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে।
আপের জয়ে আত্মবিশ্বাসী ‘উচ্ছ্বসিত’ কেজরীবাল
চণ্ডীগঢ়ের পুরভোটে ৩৫ টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে জিতেছে আম আদমি পার্টি। ১২ টি আসন জিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। এর পাশাপাশি কংগ্রেস জিতেছে ৮ টি আসন এবং অকালি দলের জুটেছে একটি আসন। পুরসভা নির্বাচনে এই বিপুল জয়কে হাতিয়ার করে পঞ্জাবের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিঁধলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। মঙ্গলবার, তিনি বলেন দেশের পাশাপাশি চণ্ডীগঢ় ও পঞ্জাবে প্রাচীন দলগুলির ওপর জনগণ বীতশ্রদ্ধ। দুর্নীতি থেকে মুক্তি চাইছে সাধারণ মানুষ। দিল্লির পর চণ্ডীগঢ় দেখিয়ে দিল। পুরোনা দলগুলিকে বিস্মিত করে মানুষ নতুন দল, নতুন মুখ ও সততার রাজনীতিকে বেছে নিয়েছে।
কী বললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
চণ্ডীগঢ়ের মানুষ পুরসভা নির্বাচনে অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছে। অনেক বড় বড় মুখকে পরাজিত করে নতুন মুখ বেছে নিয়েছে তাঁরা। এই জয়ে পুরোনো দলগুলির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। বিজেপির মেয়র, দুই প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপির যুব শাখার সভাপতি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন, বলেন কেজরীবাল।
কেজরীবালের দাবি, আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে যে মিথ্যে প্রচার করা হয়েছিল, নির্বাচনের ফলে সেই প্রচার পর্যদুস্ত হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার মনে পড়ে ২০১৭ সালের নির্বাচনের পর, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলতেন আম আদমি পার্টিকে শহুরে ভোটাররা সমর্থন করেন না। কিন্তু চণ্ডীগঢ়ের ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, শহরের জনগণ শক্তি ও বিশ্বাসের সঙ্গে আপকে সমর্থন করেছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, পঞ্জাবের জনগণের প্রতি তিনি যথেষ্ট আস্থাশীল, যে তারা এই ধরনরে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করবে। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নিকেও আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পঞ্জাবে একটি দুর্বল সরকার চলছে। শাসকদলের নেতারা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে ব্যস্ত। পঞ্জাবে সৎ ও শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন যাঁরা সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবে।” আগামী বছর বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টি কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে সেটাই এখন দেখার।